শ্রীলঙ্কার বিশ্বকাপ জার্সি নিয়ে কেন এত আলোচনা?
সাম্প্রতিক সময়ে মাঠের ক্রিকেট দিয়ে যতটা আলোচনায় আছে শ্রীলঙ্কা দল, তার চেয়ে বেশি আছে মাঠের বাইরের ইস্যু নিয়ে। ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের জন্য অধিনায়ক ঘোষণা করা হয়েছে দিমুথ করুনারত্নেকে, যিনি গত চার বছর কোনো ওয়ানডে ম্যাচই খেলেননি। ফিটনেস নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও দলে জায়গা দেওয়া হয় অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস ও লাসিথ মালিঙ্গাকে, বাদ দেওয়া হয় দিনেশ চান্দিমালকে। এতসব নেতিবাচক আলোচনার মধ্যে দুদিন আগে উন্মোচন করা হয় ২০১৯ বিশ্বকাপের জন্য দলটির অফিশিয়াল জার্সি। প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই দলটির জার্সি নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা।
তবে শ্রীলঙ্কার বিশ্বকাপ জার্সিটি আলোচনায় এসেছে ইতিবাচক কারণে। জার্সির নকশা থেকে নিজেদের জাতীয় প্রতীক সিংহ বাদ দিয়ে এবার কচ্ছপকে স্থান দিয়েছে দেশটি। আর জার্সি তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে বর্জ্য হিসেবে সমুদ্রে ফেলে দেওয়া অপচনশীল প্লাস্টিক। সমুদ্রবেষ্টিত দ্বীপদেশটিতে প্রতিবছর পর্যটক হিসেবে আসেন অসংখ্য মানুষ। দেশটির সমুদ্রে বর্জ্য হিসেবে ফেলে দেওয়া হয় প্রচুর প্লাস্টিক। যে কারণে শ্রীলঙ্কায় প্রচুর কচ্ছপ মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটছে। সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্যও হুমকির মুখে পড়েছে।
এসব বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির অংশ হিসেবে একেবারেই ভিন্নভাবে এবারের বিশ্বকাপ জার্সি হাজির করেছে শ্রীলঙ্কা। লঙ্কান ক্রিকেট বোর্ডের সব ধরনের জার্সি তৈরিতে পৃষ্ঠপোষক হিসেবে থাকে ‘এমএএস হোল্ডিং’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শিরেন্দ্রা লরেন্স লঙ্কানদের এবারের বিশ্বকাপ জার্সি নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলেন, ‘সমুদ্রের প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবহার করে ২০১৯ বিশ্বকাপের জার্সি তৈরি করা হয়েছে। এমন জার্সি উদ্ভাবন করে আমরা সন্তুষ্ট। এটা জার্সি বানানোর ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত দাঁড় করাচ্ছে।’
সাম্প্রতিক সময়ে শ্রীলঙ্কার নৌবাহিনী সমুদ্র থেকে প্লাস্টিক বর্জ্য সরানোর কার্যক্রম পরিচালনা করছে। প্লাস্টিকের পুনর্ব্যবহারের ক্ষেত্রেও সচেতনতা সৃষ্টির প্রচারণা চালানো হচ্ছে। এমন সময়ে লঙ্কান বিশ্বকাপ জার্সিতে পরিবেশবিষয়ক সচেতনতা সৃষ্টির উদ্যোগটি সব মহলে প্রশংসিত হয়েছে।