একনজরে দেখে নিন যে ভেন্যুতে হবে ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2019/05/08/photo-1557311567.jpg)
আগামী ৩০ মে কেনিংটন ওভালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে এবারের ক্রিকেট বিশ্বকাপ। ১০ দলকে নিয়ে অনুষ্ঠেয় এবারের বিশ্বকাপে অনুষ্ঠিত হবে মোট ৪৮টি ম্যাচ। আগামী ১৪ জুলাই লর্ডসে ফাইনাল দিয়ে পর্দা নামবে বিশ্বকাপ আসরের। এবারের বিশ্বকাপের খেলা হবে মোট ১১টি ভেন্যুতে। আসুন একনজরে দেখে নেওয়া যাক এবারের বিশ্বকাপ ভেন্যুগুলো :
দি ওভাল, লন্ডন : এবারের বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে দি ওভাল স্টেডিয়ামে। ১৮৪৫ সালে নির্মিত হয় স্টেডিয়ামটি। ঐতিহাসিক এই মাঠটিতেই ১৮৮০ সালে ইংল্যান্ডের মাটিতে অনুষ্ঠিত প্রথম টেস্ট ম্যাচটি আয়োজন করা হয়। মাঠটির দর্শক ধারণক্ষমতা মোট ২৩,৫০০ জন। এবারের বিশ্বকাপের পাঁচটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে স্টেডিয়ামটিতে। এ ছাড়া বিশ্বকাপের দুটি প্রস্তুতি ম্যাচও হবে ওভালে। ২০০৯ সাল থেকে এই মাঠে ফ্লাডলাইট সুবিধা যুক্ত করা হয়েছে। এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের দুটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে এই মাঠে।
ট্রেন্ট ব্রিজ, নটিংহাম : ইংল্যান্ডের আরেকটি ঐতিহাসিক ক্রিকেট মাঠ ট্রেন্ট ব্রিজ। নটিংহামে অবস্থিত মাঠটি নির্মিত হয় ১৮৪১ সালে। ১৮৯৯ সাল থেকে নিয়মিত ক্রিকেট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হচ্ছে মাঠটিতে। এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের একটি ম্যাচসহ মোট পাঁচটি ম্যাচ হবে এই মাঠে। ২০০৮ সাল থেকে মাঠটিতে ফ্লাডলাইট সুবিধা যুক্ত করা হয়েছে। মোট ১৫,৩৫০ জন দর্শক একসঙ্গে খেলা দেখতে পারে এই মাঠে বসে।
কাউন্টি গ্রাউন্ড, ব্রিস্টল : ব্রিস্টলের কাউন্টি মাঠটি নির্মাণ করা হয় ১৮৮৯ সালে। প্রায় ১৫,০০০ দর্শক ওয়ানডে ম্যাচ উপভোগ করতে পারে এই মাঠে বসে। এবারের বিশ্বকাপের তিনটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে মাঠটিতে। এ ছাড়া তিনটি প্রস্তুতি ম্যাচও আয়োজন করা হবে এই মাঠে। বাংলাদেশ দলের শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচটা অনুষ্ঠিত হবে ব্রিস্টলে।
দ্য রোজ বোল, সাউথাম্পটন : দ্য রোজ বোল ইংল্যান্ডের সাম্প্রতিক সময়ে নির্মিত মাঠগুলোর একটি। ২০০১ সালে নির্মাণ করা হয় স্টেডিয়ামটি। ফ্লাডলাইট সুবিধাসংবলিত মাঠটিতে বসে প্রায় ৬,৫০০ দর্শক খেলা দেখতে পারে। বাংলাদেশের একটি ম্যাচসহ এবারের বিশ্বকাপের মোট পাঁচটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে এই মাঠে। এ ছাড়া দুটি প্রস্তুতি ম্যাচও হবে এখানে।
দ্য কুপার কাউন্টি গ্রাউন্ড, টন্টন : ইংলিশ কাউন্টি দল সমারসেটের ঘরের মাঠ হিসেবে পরিচিত টন্টন স্টেডিয়ামটা নির্মিত হয় ১৮৮২ সালে। মাঠটির দর্শক ধারণক্ষমতা ৬,৫০০। এবারের বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচটাসহ মোট তিনটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে টন্টনে।
ওল্ড ট্রাফোর্ড, ম্যানচেস্টার : ১৮৫৭ সালে ম্যানচেস্টার শহরে নির্মাণ করা হয় ওল্ড ট্রাফোর্ড স্টেডিয়ামটি। ২০১১ সালে ফ্লাডলাইট সুবিধা যুক্ত করা হয় মাঠটিতে। একসঙ্গে ১৯,০০০ দর্শক খেলা দেখতে পারে এই মাঠে। ভারত-পাকিস্তানের মহারণসহ বিশ্বকাপের গ্রুপপর্বের পাঁচটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ওল্ড ট্রাফোর্ডে। আসরের প্রথম সেমিফাইনাল ম্যাচটাও এখানেই আয়োজন করা হবে।
এজবাস্টন, বার্মিংহাম : ইংল্যান্ডের আরেকটি বিখ্যাত ক্রিকেট মাঠ এজবাস্টন। ১৮৮২ সালে নির্মিত মাঠটির দর্শক ধারণক্ষমতা ২১,০০০। ভারত বনাম বাংলাদেশ ম্যাচসহ এবারের বিশ্বকাপের গ্রুপপর্বের চারটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে এই মাঠে। বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনাল ম্যাচটাও হবে এই মাঠেই।
হেডিংলি, লিডস : বিশ্ববিখ্যাত ইংলিশ কাউন্টি ক্লাব ইয়র্কশায়ারের হোম গ্রাউন্ড হিসেবে পরিচিত হেডিংলি। এবারের বিশ্বকাপের মোট চারটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে হেডিংলিতে। ১৮৯০ সালে নির্মিত স্টেডিয়ামটিতে ১৭,০০০ দর্শক একসঙ্গে বসে খেলা দেখতে পারে।
রিভারসাইড গ্রাউন্ড, ডারহাম : স্বাগতিক ইংল্যান্ডের একটি ম্যাচসহ বিশ্বকাপের তিনটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে এই মাঠে। ১৯৯৫ সালে নির্মিত হয় স্টেডিয়ামটি। এখানকার দর্শক ধারণক্ষমতা ৫,০০০।
সোফিয়া গার্ডেন, কার্ডিফ : বাংলাদেশের ক্রিকেটভক্তদের কাছে সুপরিচিত কার্ডিফের সোফিয়া গার্ডেন। ২০০৫ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টাইগারদের ঐতিহাসিক জয়টা এসেছিল এই মাঠেই। মাঠটির দর্শক ধারণক্ষমতা ৫,৫০০। ২০০৫ সালে ফ্লাডলাইট যুক্ত করা হয় মাঠটিতে। এবারের বিশ্বকাপে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচটি হবে এই মাঠে। এ ছাড়া আরো তিনটি ম্যাচ হবে এখানে।
দ্য লর্ডস, লন্ডন : ‘ক্রিকেটের মক্কা’ খ্যাত লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ড নির্মিত হয় ১৮১৪ সালে। ক্রিকেটবিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ মাঠ হিসেবে গণ্য করা হয় লর্ডসকে। ফ্লাডলাইট সুবিধাসংবলিত মাঠটিতে ৩০,০০০ দর্শক গ্যালারিতে বসে খেলা দেখতে পারে। এবারের বিশ্বকাপে গ্রুপপর্বের বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তান ম্যাচ ছাড়াও আরো তিনটি ম্যাচ হবে এই মাঠে। ঐতিহাসিক এই মাঠেই এবারের বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে।