এ কী করলেন মুশফিক!
বাংলাদেশ দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ক্রিকেটাদের একজন মুশফিকুর রহিম। দলের ব্যাটিংয়ের অন্যতম ভরসাও বলা হয়ে থাকে তাঁকে। তাঁর ব্যাটিং সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোনো অবকাশ নেই। ব্যাট হাতে দলকে বহু সাফল্য এনে দিয়েছেন তিনি।
কিন্তু মুশফিকের উইকেটকিপিং নিয়ে প্রায় সময়ই প্রশ্ন উঠে থাকে। উইকেটকিপিংয়ে তরুণদের জায়গা ছেড়ে দেওয়া উচিত, ব্যাটিংয়ে মুশফিককে আরো বেশি মনোযোগ দেওয়া কথা অনেকদিন ধরেই আলোচনায় এসেছে। কিন্তু বিষয়টিকে খুব একটা আমলে নেননি তিনি। নিজের সিদ্ধান্তে বরাবরই অনড় থেকেছেন।
অবশ্য ক্যাচ মিস ও স্ট্যাম্পিংয়ে দেরি করার জন্য বহু সমালোচনা শুনতে হয়েছে বাংলাদেশ দলের সাবেক এই অধিনায়ককে। একবার উইকেটকিপিং থেকে সরিয়েও দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। তখন শুধু ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছিলেন। পরে যদিও আবার ফিরে পেয়েছেন নিজের জায়গা।
কিন্তু মুশফিক যে উইকেটকিপিংয়ে শতভাগ দায়িত্ব সামলাতে পারছেন না তার প্রমাণ পাওয়া গেছে বিভিন্ন সময়ে। চলমান বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বড় একটি ভুল করে ফেলেন মুশফিক। এর মাশুল দিতে হয়েছে পুরো দলেকে।
ম্যাচের ১২তম ওভারের দ্বিতীয় বলে নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনকে রানআউট করার দরুণ সুযোগ হাতছাড়া করেন মুশফিক। তামিম ইকবালের থ্রো থেকে পাওয়া বল স্টাম্পে লাগানোর আগে তাঁর হাত লেগে বেল পড়ে যায়। তাই কিউই অধিনায়ক আউট হওয়া থেকে বেঁচে যান।
কিন্তু নিউজিল্যান্ডের তখন এমন অবস্থা ছিল আর একটি উইকেট পড়ে গেলেই বেশ চাপে পড়ে যেতো তারা। এর সুযোগ নিতে পারতো বাংলাদেশ। বরং মুশফিকের ভুলের সুযোগ কাজে লাগিয়ে নিউজিল্যান্ড পরবর্তীতে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায়।
এদিকে ২০০৬ সালের আগস্টে হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে অভিষেক হয়েছিল মুশফিকের। সেই ম্যাচে গ্লাভস হাতে উইকেটের পেছনে ছিলেন খালেদ মাসুদ পাইলট। তবে সে বছরের ডিসেম্বরে নিজের দ্বিতীয় ম্যাচে উইকেটরক্ষকের দায়িত্ব পালনের পর মুশফিককে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। মিরপুরে সেই ম্যাচেও বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ছিল জিম্বাবুয়ে।