তরুণ টাইগারদের তীব্র প্রতিরোধ, তবে জয় মেলেনি
২৪৪ পুঁজি করেও লড়াই করল বাংলাদেশ। আর লড়াইটা শুরু করেছিলেন সাকিব যা টেনে নিয়ে যান মিরাজ-মোসাদ্দেক-সাইফুদ্দিনরা। শেষ দিকে তিন তরুণের বল কাঁপন ধরিয়ে দেয় কিউইদের। খেলার ফলই বলে দেয় সব। ২৪৪ করতে আটটি উইকেট পড়েছে নিউজিল্যান্ডের, খেলা যখন শেষ হয় তখন হাতে ছিল মাত্র ১৭ বল।
নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশকে দুই উইকেটে হারিয়েছে নিউজিল্যান্ড। প্রথমে ব্যাট করে বাংলাদেশ ২৪৪ রানে অলআউট হয়।
অথচ শেষ ২০ ওভারে ৯০ রান দরকার ছিল নিউজিল্যান্ডের। হাতে ছিল আটটি উইকেট। উইলিয়ামসন আর রস টেলর এগিয়ে যাচ্ছিলেন জয়ের দিকে।
উইলিয়ামসনের সেই রান আউটটাই আক্ষেপ হয়ে দাঁড়াল। মুশফিকের ভুল অবস্থানের কারণে বলটা ঠিকমত লাগেনি স্ট্যাম্পে। নিশ্চিত রান আউটটা হল না! সেই উইলিয়ামসন আর টেলর মিলে ভিত্তিটা গড়ে দিলেন। আর তাতেই বাংলাদেশকে হারাল নিউজিল্যান্ড।
অবশ্য উইলিয়ামসন আর টেলরের উইকেট নিয়ে লড়াইয়ে ফেরার দারুণ আভাস দিয়েছিলেন মিরাজ-মোসাদ্দেক-সাইফুদ্দিনরা। আটটি উইকেটও পড়ে যায় কিউইদের। কিন্তু জয় মেলেনি।
উইলিয়ামসন করেন ৪০ রান এবং রস টেলর করেন ৮২ রান। ম্যান অব দ্য ম্যাচ হন রস টেলর।
উইলিয়ামসন ও টেলরের পর দ্রুত উইকেট পড়তে থাকে কিউদের। ল্যাথামকে শূণ্য রানে ফিরিয়ে দেন মিরাজ। মোসাদ্দেকের বলে সৌম্যকে ক্যাচ দেন নেশাম। হেনরিকে বোল্ড করে ম্যাচে উত্তেজনা ফিরিয়ে আনেন সাইফুদ্দিন। কিন্তু তাতে কোনো কাজ হয়নি।
বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে মিরাজ, সাকিব, সাইফুদ্দিন ও মোসাদ্দেক দুইটি করে উইকেট লাভ করেন।
প্রথমে ব্যাট করে খুব বড় সংগ্রহ গড়তে পারেনি বাংলাদেশ। বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের সামনে লক্ষ্য দিয়েছে ২৪৫ রান। এই রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই চাপে পড়ে গিয়েছিল কিউইরা। দলীয় ৫৫ রানে দুই ওপেনারকে সাজঘরে ফেরান সাকিব আল হাসান।
প্রথমে ব্যাট করে ২৪৪ রানে থেমেছে বাংলাদেশের ইনিংস। ৫০ ওভারে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ।
প্রথম ২৫ ওভারে তিন উইকেট হারিয়ে ১২০ রান করে বাংলাদেশ। সাকিব-মুশফিক ৫০ রান তোলেন। এরপর আর বড় জুটি গড়ে উঠেনি। সাকিব ৬৪ করে বিদায় নেন।
মিঠুন ও মাহমুদুল্লাহ জুটি গড়ার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু মিঠুন ২৬ রানে ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ২০ রানে আউট হন। মোসাদ্দেক ও মিরাজও আজ তেমন কিছু করতে পারেননি। তবে শেষ দিকে দ্রুত রান বাড়ান সাইফুদ্দিন। ২৩ বলে ২৯ রান করে হেনরির বলে বোল্ড হন তিনি।
বোলারদের মধ্যে হেনরিই ভুগিয়েছেন বাংলাদেশকে। নয় ওভার দুই বলে ৪৭ রান দিয়ে চার উইকেট তুলে নিয়েছেন তিনি। বোল্ট দুইটি উইকেট লাভ করেন।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে যেতে হয়েছে বাংলাদেশকে। শুরুটা ভালো করার পরেও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি সৌম্য ও তামিম। প্রথম ১৭ ওভারে দুই ৭২ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ।
কিউই বোলারদের ওপর চড়াও হয়েই শুরু করেন সৌম্য সরকার। ২৫ বলে ২৫ রানে ছিল চারটি চারের মার। হেনরির বলে বোল্ড হন তিনি। ফার্গুসনের বলে বোল্টকে ক্যাচ দেওয়ার আগে তামিম করেন ২৪ রান। ওপেনারদের বিদায়ের পর মাঠে নামেন সাকিব ও মুশফিক।