সাকিবের সামনে শুধু শচীন ও হেইডেন
‘আমি সাকিবের সঙ্গে কাজ করতে ভালোবাসি। সে অসাধারণ একজন মানুষ, অসাধারণ একজন খেলোয়াড়। আমার কাছ থেকে কোনো প্রেরণা নিতে হয়নি তাঁকে। পুরো কৃতিত্বটাই সাকিব আল হাসানের। এটা তাঁর ভেতর থেকে এসেছে। সাকিব নিজেই এসব করেছে। এই বিশ্বকাপে ভালো করতে সে মরিয়া ছিল।’
কথাগুলো বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান কোচ স্টিভ রোডসের। প্রতিটি বাক্যের তাৎপর্য, অন্তর্নিহিত অর্থ অনেক গভীর। রোডস বুঝিয়ে দিলেন, সাকিব আল হাসানকে শিষ্য হিসেবে পেয়ে এবং তার সঙ্গে কাজ করতে পেরে যে অসম্ভব ভালো লাগার অনুভূতি তৈরি হয়েছে, সেটা তার জন্য বিশাল এক প্রাপ্তি। সেই সঙ্গে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারকে আলাদা করে কোনো অনুপ্রেরণাও দিতে হয়নি টাইগার কোচের। তাই এবারের বিশ্বকাপে পাওয়া অবিস্মরণীয় সাফল্যের পুরো কৃতিত্বটা সাকিবকেই দিলেন রোডস।
কেনইবা দিবেন না, নিঃসন্দেহে চলমান বিশ্বকাপের সেরা পারফর্মার সাকিব। এই বিশ্বকাপে সাকিব অনেক মহারথীদের পিছনে ফেলে নিজেকে নিয়ে গেছেন স্বর্ণালী উচ্চতায়।
একক কোন বিশ্বকাপে সাকিবের সামনে মাত্র দুই মহারথী রয়েছেন। একজন ভারতীয় কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকার যার সংগ্রহ ৬৭৩ রান ও অন্যজন ম্যাথু হেইডেন যার সংগ্রহ ৬৫৯ রান। আর এর পর তৃতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক বাংলাদেশের সাকিব। পাকিস্তানের সঙ্গে খেলা চলার সময় যার সংগ্রহ ছিল ৫৯৩ রান; প্রতিবেদন লেখার সময়ও ব্যাট করছিলেন সাকিব।