একই দিনে দল গোছাল মোহামেডান-আবাহনী
বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের ডামাডোলের মধ্যে অনেকটা নীরবে আগামী মৌসুমের জন্য দল গুছিয়ে নিয়েছে ঢাকা মোহামেডান ও ঢাকা আবাহনী। শুক্রবার স্থানীয়দের দলবদলের শেষ দিনে ফুটবল ফেডারেশনে খেলোয়াড়দের নিবন্ধনের তালিকা জমা দিয়েছে দেশের দুই জনপ্রিয় ক্লাব।
পেশাদার লিগে চারবারের চ্যাম্পিয়ন আবাহনীর এবারের দল তারুণ্যনির্ভর। মোহামেডান থেকে ডিফেন্ডার আরিফুল ইসলাম ও নাহিদুল ইসলাম, মিডফিল্ডার ইমন মাহমুদ ও ফরোয়ার্ড ওয়াহেদ আহমেদ এবং শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব থেকে গোলরক্ষক জিয়াউর রহমানকে দলে টেনেছে তারা।
শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র থেকে মিডফিল্ডার শাকিল আহমেদ ও ডিফেন্ডার মামুন মিয়া, বিজেএমসি থেকে স্ট্রাইকার আমিনুর রহমান সজীব, ফেনী সকার ক্লাব থেকে আবু সুফিয়ান এবং আরামবাগ থেকে মিতুলও আবাহনীতে যোগ দিয়েছেন।
আবাহনীর এই দলে বর্তমান জাতীয় দলের একমাত্র সদস্য ওয়াহেদ। তবে বিদেশি খেলোয়াড় সংগ্রহে দারুণ মুনশিয়ানার পরিচয় দিয়েছে দেশের অন্যতম জনপ্রিয় ক্লাব। তিন হাঙ্গেরিয়ান মিডফিল্ডার গাবোর দেমেন, ফরোয়ার্ড ইলেস জিউলা ও স্ট্রাইকার সাবোলস চরবাকে নিবন্ধন করিয়ে বেশ ভারসাম্যপূর্ণ দলই গড়েছে আবাহনী। আবাহনীর আরেকটি শক্তি, এ মৌসুমে তাদের কোচের দায়িত্বে আছেন জর্জ কোটান। এই অস্ট্রিয়ান কোচের অধীনে ২০০৩ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে শিরোপা জিতেছিল বাংলাদেশ।
আবাহনীর তুলনায় মোহামেডানের দলটি বেশ সাদামাটা। এখনো পেশাদার লিগের শিরোপার স্বাদ না পাওয়া মোহামেডানে এবার উল্লেখ করার মতো খেলোয়াড় আবাহনী থেকে আসা মিডফিল্ডার আরমান আজিজ। তিন মৌসুম ধরে খেলা ডিফেন্ডার মিন্টু শেখ ও মিডফিল্ডার মেজবাবুল হক মানিককে অবশ্য ধরে রেখেছে ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি।
মোহামেডান তেমন ভালো বিদেশিও আনতে পারেনি। কয়েক মৌসুম ধরে ঢাকার ফুটবলাঙ্গনের ‘পরিচিত মুখ’ গিনির ফরোয়ার্ড ইসমাইল বাঙ্গুরা ও মিডফিল্ডার এলিটা বেঞ্জামিনকে নিবন্ধন করিয়েছে তারা। গিনির তিন ফুটবলার মোহাম্মদ কামারা, মানসাস ইয়ালা ও বোবাকার কিয়েটা শুক্রবার ঢাকায় এসেছেন। পছন্দ হলে শনিবার বিদেশিদের নিবন্ধনের শেষ দিনে হয়তো এই তিনজনকে দলে টানবে মোহামেডান।
এবার মোহামেডানের কোচের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কাজী জসিমউদ্দিন জোসিকে। এর আগে মোহামেডানের জুনিয়র দলের কোচ ছিলেন আশির দশকের এই তারকা ফুটবলার।
মোহামেডান-আবাহনী ছাড়াও শুক্রবার দলবদলের আনুষ্ঠানিকতা সেরে নিয়েছে ব্রাদার্স ইউনিয়ন, চট্টগ্রাম আবাহনী ও ফরাশগঞ্জ।