অবশেষে জয় পেল চেলসি
একের পর এক হতাশাজনক হারে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছিল চেলসি। ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য একটা জয় খুব করেই দরকার ছিল গত মৌসুমের ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ শিরোপাজয়ীদের। সেই বহু কাঙ্ক্ষিত জয়টাই তারা পেয়েছে বুধবার চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচে। ইউক্রেনের ক্লাব দিনামো কিয়েভের বিপক্ষে জয়টা অবশ্য বেশ ঘাম ঝরিয়েই পেতে হয়েছে চেলসিকে। তবে শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলের এই জয় দিয়ে নকআউট পর্বে যাওয়ার আশা বেশ ভালোমতোই টিকিয়ে রেখেছে জোসে মরিনিয়োর শিষ্যরা।
নিজেদের মাঠ, স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে শুরুতে এগিয়ে গিয়েছিল চেলসি। তবে ম্যাচের প্রথম এই গোলটির পেছনে অবশ্য কোনো অবদান নেই চেলসির খেলোয়াড়দের। ৩৪ মিনিটে নিজেদের জালেই বল জড়িয়ে দিয়েছিলেন কিয়েভের ডিফেন্ডার আলেক্সান্ডার দ্রাগোভিচ। আত্মঘাতী এই গোলের কল্যাণে প্রথমার্ধটা ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকেই শেষ করেছিল চেলসি। দ্বিতীয়ার্ধে ৭৭ মিনিটের মাথায় দ্রাগোভিচই খেলায় ফিরিয়েছিলেন কিয়েভকে। এবার চেলসির জালে বল জড়িয়ে খেলায় এনেছিলেন ১-১ ব্যবধানের সমতা। দুই দলকে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে মাঠ ছাড়তে হবে, এমনটাই হয়তো ধরে নিয়েছিলেন অনেকে। কিন্তু ৮৩ মিনিটে চেলসিকে উদ্ধার করেন উইলিয়ান। ফ্রি-কিক থেকে দারুণ এক গোল করে চেলসিকে এনে দেন ২-১ গোলের কষ্টার্জিত জয়।
চ্যাম্পিয়নস লিগে এই জয়ের পর কিছুটা হলেও স্বস্তির নিশ্বাস ফেলতে পেরেছেন ভয়াবহ দুর্দশার মধ্যে থাকা মরিনিয়ো। ম্যাচ শেষে তিনি বলেছেন, ‘এই জয় খুব বড় স্বস্তির ব্যাপার। খেলোয়াড়রা তাদের কঠোর পরিশ্রমের ফল পেয়েছে। এই ম্যাচে খারাপ সময়গুলোতেও আমাদের খেলোয়াড়রা আত্মবিশ্বাস ধরে রেখেছে। দলের সবাই মানসিকভাবে শক্ত ছিল। তারা ক্রমাগত জয়ের চেষ্টা করে গেছে। আর আমি এতে খুশি।’
‘জি’ গ্রুপের চার ম্যাচ শেষে ১০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে পর্তুগালের শীর্ষ ক্লাব পোর্তো। ৭ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থান দখল করেছে চেলসি। তৃতীয় স্থানে থাকা কিয়েভের সংগ্রহ ৫ পয়েন্ট। আর চার ম্যাচের সব কটিতেই হারের পর গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেছে ইসরায়েলের ক্লাব ম্যাকাবি তেল আবিবের।