আবার ওয়ানডে দলে ইউনুস খান
ইউনুস খান সর্বশেষ ওয়ানডে খেলেছিলেন গত বিশ্বকাপে। ফেব্রুয়ারি-মার্চে ক্রিকেটের সেরা আসরে তেমন সুবিধা করে উঠতে পারেননি পাকিস্তানের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান। তিন ম্যাচে ৪৩ রান করার পর বিশ্বকাপে আর মাঠে নামার সুযোগ পাননি। শুধু তা-ই নয়, বিশ্বকাপের পর ওয়ানডে দলেও ‘ব্রাত্য’ হয়ে পড়েছিলেন। অনেকেই ভেবেছিলেন, তাঁর ওয়ানডে ক্যারিয়ার বোধ হয় শেষ। কিন্তু পাকিস্তানের ক্রিকেটে ‘শেষ’ বলে বোধ হয় কিছু নেই! ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সদ্যসমাপ্ত টেস্ট সিরিজে ভালো খেলে ইউনুস তাই আবারো ওয়ানডে দলে।
তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ২-০তে বিজয়ী পাকিস্তান চারটি ওয়ানডেতে ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হবে। এই সিরিজের জন্য ঘোষিত দলে আছে ইউনুসেরও নাম। টেস্ট সিরিজে একটি শতক, একটি অর্ধশতকসহ ৩০২ রান করার পুরস্কারই পেয়েছেন তিনি। পাকিস্তানের প্রধান নির্বাচক হারুন রশীদ অবশ্য ইউনুসকে দলে নেওয়ার পেছনে ফর্মের পাশাপাশি অভিজ্ঞতার কথাও জানাচ্ছেন, ‘নিঃসন্দেহে তাঁর (ইউনুসের) বর্তমান টেস্ট ফর্ম খুবই ভালো। মিডল অর্ডার ব্যাটিংয়ে দৃঢ়তা আনার জন্য আমাদের একজন সিনিয়র ব্যাটসম্যান প্রয়োজন।’
২৬৪ ম্যাচে ৭,২৪০ রান করলেও ইদানীং ওয়ানডেতে তেমন ভালো করতে পারেননি ইউনুস। গত সাত বছরে মাত্র দুটি ওয়ানডে সেঞ্চুরি সেই সাক্ষ্যই দিচ্ছে। ৫০ ওভারের ক্রিকেটে এমন দুরবস্থার জন্যই পাকিস্তানের কোচ ওয়াকার ইউনিস ও তাঁর সহযোগীরা ইউনুসকে ওয়ানডে দলের বাইরে রাখতে চেয়েছিলেন। তবে হারুন রশীদ নির্বাচকদের সিদ্ধান্তের পক্ষে যুক্তি দিয়ে বলেছেন, ‘এটা পেছনের দিকে হাঁটার মতো সিদ্ধান্ত নয়। কারণ, আমাদের সামনে বেশ কয়েকটি কঠিন সিরিজ আছে। তাই আমাদের ব্যাটিং শক্তিশালী করা দরকার।’
পাকিস্তানের ১৬ সদস্যের দলে একজনই নতুন মুখ, ২০ বছর বয়সী বাঁহাতি স্পিনার জাফর গহর। চোট আক্রান্ত ইমাদ ওয়াসিমের জায়গায় সুযোগ পেয়েছেন তিনি।
১১ নভেম্বর হবে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচ। বাকি তিনটি ম্যাচ ১৩, ১৭ ও ২০ নভেম্বর। ওয়ানডে সিরিজ শেষে তিনটি টি-টোয়েন্টিতেও মুখোমুখি হবে পাকিস্তান-ইংল্যান্ড।
পাকিস্তানের ওয়ানডে দল
আজহার আলী (অধিনায়ক), মোহাম্মদ হাফিজ, আহমেদ শেহজাদ, ইউনুস খান, শোয়েব মালিক, সরফরাজ আহমেদ, মোহাম্মদ রিজওয়ান, বাবর আজম, ইয়াসির শাহ, ওয়াহাব রিয়াজ, জাফর গহর, মোহাম্মদ ইরফান, রাহাত আলী, আনওয়ার আলী, আমির ইয়ামিন ও বিলাল আসিফ।