আল আমিনের অপেক্ষার অবসান
শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে বিশ্বকাপের মাঝপথে অস্ট্রেলিয়া থেকে দেশে ফেরত আসতে বাধ্য হয়েছিলেন আল আমিন হোসেন। বিশ্বকাপের পর ঘরের মাঠে ভারত, পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে তিনটি সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ। কিন্তু জাতীয় দলে কিছুতেই সুযোগ পাচ্ছিলেন না এই ডানহাতি পেসার। অবশেষে আল আমিনের অপেক্ষার অবসান হলো। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম দুটো ওয়ানডের জন্য ঘোষিত দলে সুযোগ পেয়েছেন আগেই। শনিবার জায়গা করে নিয়েছেন প্রথম ওয়ানডের একাদশেও। গত বছরের নভেম্বরে চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই সর্বশেষ ওয়ানডে খেলেছিলেন তিনি।
বিশ্বকাপের সময় আল আমিনের ‘অপরাধ’ গুরুতরই ছিল। ১৯ ফেব্রুয়ারি রাত ১২টার দিকে বাইরে থেকে টিম হোটেলে ফিরেছিলেন তিনি। টিম ম্যানেজমেন্টের অনুমতি ছাড়া এত রাত পর্যন্ত বাইরে থাকা শৃঙ্খলাভঙ্গের শামিল। তাই তাঁকে আর দলের সঙ্গে রাখা হয়নি, পাঠিয়ে দেওয়া হয় দেশে। বিশ্বকাপে একটিও ম্যাচ না খেলেই ভগ্ন মনোরথে ফিরে এসেছিলেন তিনি।
ঘরের মাঠে টানা তিনটি সিরিজে জাতীয় দলে জায়গা না পেলেও বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে গিয়েছিলেন আল আমিন। দুটো সফরেই সফল বলতে হবে তাঁকে। ভারতে তিন ম্যাচে পাঁচ উইকেট এবং দক্ষিণ আফ্রিকায় চার ম্যাচে ১২ উইকেট নিয়েছেন। দক্ষিণ আফ্রিকায় দারুণ বোলিংই আবার জাতীয় দলে জায়গা করে দিয়েছে আল আমিনকে।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রাথমিক দলে জায়গা পাওয়ার পর আল আমিন বলেছিলেন, ‘আমার সব সময় আত্মবিশ্বাস ছিল যে দলে ফিরবই। সে জন্য অনেক পরিশ্রম করেছি। ১৮ জনের প্রাথমিক দলে সুযোগ পেয়েছি।। এবার মূল দলে জায়গা করে নিতে চাই।’
মূল দলে তো বটেই, প্রথম একাদশেও জায়গা করে নিয়েছেন আল আমিন। এবার তাঁর নিজেকে প্রমাণ করার পালা।