মুশফিকের জীবনের রঙিন বছর
২০১৫ সাল নিঃসন্দেহে স্মরণীয় হয়ে থাকবে বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে। বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার পর পাকিস্তান-ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকাকে টানা তিনটি ওয়ানডে সিরিজে হারানো বাংলাদেশ এ বছরের অন্যতম আলোচিত দল।
এ বছর মুশফিকুর রহিমও সাফল্যে ভাস্বর, ধারাবাহিকতার প্রতিমূর্তি। বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচেই শতকের আনন্দে অধীর। ২০১৫ সালে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের পক্ষে সবচেয়ে বেশি রানও এসেছে মুশফিকের ব্যাট থেকে।
এ বছর মুশফিক ১৬তম ওয়ানডে খেললেন শনিবার। এর মধ্যে ১৪টি ম্যাচে ব্যাট করার সুযোগ পেয়ে ৫৫.২৩ গড়ে করেছেন ৭১৮ রান। ওয়ানডেতে তাঁর চারটি শতকের দুটিই এসেছে এ বছর। আগের শতকটি ছিল গত এপ্রিলে, পাকিস্তানের বিপক্ষে ১০৬ রান। দুটি শতকের পাশাপাশি চারটি অর্ধশতকও এসেছে মুশফিকের ব্যাট থেকে। তাই গত বছরের রানকে এরই মধ্যে পেছনে ফেলে দিয়েছেন। ২০১৪ সালে ১৮টি ওয়ানডে খেলে ৭০৪ রান করেছিলেন তিনি।
বাংলাদেশের পক্ষে এ বছর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সৌম্য সরকারের। ১৫টি ম্যাচ খেলে ৫১.৬৯ গড়ে ৬৭২ রান করেছেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। সৌম্যর পরেই আছেন তামিম ইকবাল। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে ৪০ রান করা তামিমের ১৬ ম্যাচে সংগ্রহ ৬৫০ রান। বিশ্বকাপে দুটো শতকসহ ১৩ ম্যাচে ৪৫০ রান করে মাহমুদউল্লাহর অবস্থান চতুর্থ।
এ বছর ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় মুশফিকের নাম ২০তম অবস্থানে। তবে শ্রীলঙ্কান কিংবদন্তি কুমার সাঙ্গাকারা ছাড়া মুশফিকের ওপরে থাকা সবাই খেলেছেন তাঁর চেয়ে বেশি ইনিংস। ব্যাটিং গড়ের হিসেবে এ বছর সবচেয়ে বেশি রান সংগ্রাহকের তালিকায় মুশফিকের অবস্থান সপ্তম।
বাংলাদেশের পক্ষে এক পঞ্জিকাবর্ষে সবচেয়ে বেশি রান করার রেকর্ড শাহরিয়ার নাফীসের দখলে। ২০০৬ সালে ২৮টি ম্যাচে তিনটি শতক ও চারটি অর্ধশতক হাঁকিয়ে ১০৩৩ রান করেছিলেন এই বাঁহাতি ওপেনার। সে বছর তাঁর ব্যাটিং গড় ছিল ৪১.৩২।