এবার টি-টোয়েন্টিতেও হোয়াইটওয়াশের হাতছানি
ওয়ানডেতে বাংলাদেশ এখন সমীহজাগানো শক্তি। ২০১০ আর ২০১৩ সালে দুবার ওয়ানডে সিরিজে নিউজিল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করেছিল। এ বছর দুর্দান্ত দাপটে পরাস্ত করেছে ভারত-পাকিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকার মতো পরাশক্তিদের। বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালে খেলা তো আছেই। কিন্তু টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশের ব্যর্থতার পাল্লাই ভারী।
ওয়ানডেতে সাতবার টেস্ট দলের বিপক্ষে বাংলাদেশ মেতে উঠতে পেরেছে হোয়াইটওয়াশের উল্লাসে। কিন্তু টি-টোয়েন্টিতে সেই মধুর অভিজ্ঞতা এখনও হয়নি বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের। এখন অবশ্য তাঁরা নিজেদের পালকে নতুন আরেকটি পালক যোগ করার খুব কাছাকাছি। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে চার উইকেটের জয় পেয়েছে মাশরাফিবাহিনী। রোববার বিকেল পাঁচটায় শুরু হতে যাওয়া দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচে জয় পেলে টি-টোয়েন্টি সিরিজে প্রথমবারের মতো কোনো টেস্ট দলকে হোয়াইটওয়াশ করার মধুর স্বাদ পাবে লাল-সবুজের দল।
২০০৬ সালে নিজেদের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু এরপর বেশির ভাগ সময় সঙ্গী হয়েছে ব্যর্থতার হতাশা। ২০১৩ সালের মে মাসে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ১-১এ ড্র করেছিল বাংলাদেশ। এবার সেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই বাংলাদেশ পেয়ে যেতে পারে প্রথমবারের মতো কোনো টেস্ট দলের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয় ও হোয়াইটওয়াশের স্বাদ। সেজন্য রোববার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচটি জিততে হবে মাশরাফির দলকে।
সব দল মিলিয়ে হিসেব করলে বাংলাদেশের অবশ্য টি-টোয়েন্টিতে হোয়াইটওয়াশ করার অভিজ্ঞতা আগেই হয়েছে। ২০১২ সালের জুলাইয়ে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশ হারিয়েছিল আয়ারল্যান্ডকে। আইসিসির আরও দুই সহযোগী দেশ স্কটল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে অবশ্য বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টির পারফরম্যান্স হতাশাজনক। ২০১২ সালে হারের মুখ দেখতে হয়েছিল স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে। সে বছরই নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে দুই ম্যাচের সিরিজ ড্র করেছিল ১-১এ।
টি-টোয়েন্টিতে মোট ৪৫টি ম্যাচ খেলে বাংলাদেশ জয় পেয়েছে মাত্র ১৩টি ম্যাচে। হারের তিক্ত স্বাদ পেতে হয়েছে ৩১টি ম্যাচে। পরিত্যক্ত হয়েছে একটি ম্যাচ। টেস্ট দলগুলোর বিপক্ষে বাংলাদেশ জয়ের আনন্দে মেতে উঠতে পেরেছে মাত্র ছয়বার। তিনটি ম্যাচ জিতেছে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জিতেছে দুইটি ম্যাচ। পাকিস্তানকে হারিয়েছে একবার।