সমর্থকদের পাশে চান দুঙ্গা
সালভাদরের ফন্তে নোভা স্টেডিয়ামে এখনো কোনো ম্যাচ হারেনি ব্রাজিল। বাংলাদেশ সময় বুধবার সকালে এই মাঠে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে পেরুর মুখোমুখি হওয়ার সময় মানসিকভাবে অনেক এগিয়ে থাকার কথা স্বাগতিকদের। তবে স্বদেশের দর্শকদের নিয়ে কিছুটা দুশ্চিন্তাও আছে ব্রাজিলের কোচ দুঙ্গার মনে। পেরুর সঙ্গে ম্যাচে তাই সমর্থকদের পাশে চেয়েছেন ব্রাজিলের বিশ্বকাপজয়ী দলের অধিনায়ক।
খেলোয়াড় হিসেবে ভালোই জনপ্রিয় ছিলেন দুঙ্গা। ১৯৯৪ সালে জিতেছিলেন বিশ্বকাপ শিরোপা। কিন্তু কোচ হিসেবে ততটা জনপ্রিয়তা পাননি। ব্রাজিলকে ২০০৭ সালে কোপা আমেরিকা ও ২০০৯ সালে কনফেডারেশনস কাপ জেতালেও দেশের মানুষের মন জয় করতে পারেননি তিনি। পেরুর বিপক্ষে তাই ব্রাজিলের ফুটবলপাগল মানুষই বেশি ভাবাচ্ছে দুঙ্গাকে। এই ম্যাচ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ‘সমর্থকরা জানেন যে তাদের সমর্থন দলের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ। কখনো কখনো গোল দ্বিতীয়ার্ধেও আসতে পারে। সেজন্য মাথা গরম না করে ধৈর্য ধরতে হবে। সমর্থকদের এটা বুঝতে হবে।’
ব্রাজিলের দর্শকের অসহিষ্ণু মনোভাব দানি আলভেসেরও ভালো মতো জানা। এ প্রসঙ্গে বার্সেলোনার তারকা ডিফেন্ডারের কণ্ঠে কোচের কথারই প্রতিধ্বনি, ‘আমাদের দেশ সবসময় সমালোচনায় মুখর। তেমন ধৈর্যশীল নয়। আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারি তাহলে অনেক দ্রুত এগিয়ে যেতে পারব।’
প্রথম ম্যাচে চিলির কাছে হেরে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের শুরুটা ভালোভাবে করতে না পারলেও দ্বিতীয় ম্যাচে ভেনেজুয়েলাকে হারিয়ে লড়াইয়ে ফিরেছিল ব্রাজিল। তৃতীয় ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনার বিপক্ষে তাদের মাটিতেই ড্র করে দেশে ফেরার পর সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছিলেন দুঙ্গা। তিন ম্যাচে চার পয়েন্ট নিয়ে লাতিন আমেরিকা অঞ্চলের পয়েন্ট তালিকার চতুর্থ স্থানে আছে ব্রাজিল। ঘরের মাটিতে পেরুকে হারাতে পারলে বেশ খানিকটা এগিয়ে যাবে দুঙ্গার দল।
অন্যদিকে প্রথম দুই ম্যাচে হারের মুখ দেখলেও গত শুক্রবার প্যারাগুয়েকে ১-০ গোলে হারিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছে পেরু। তিন ম্যাচে তিন পয়েন্ট নিয়ে পেরুর অবস্থান অষ্টম।