এবার চার গোলের হার
ঠিক যেন আগের ম্যাচের পুনরাবৃত্তি! অস্ট্রেলিয়ার কাছে আবার বিধ্বস্ত বাংলাদেশ। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ফিরতি ম্যাচে ৪-০ গোলে হার মেনেছে লাল-সবুজের দল। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অভিজ্ঞ ফরোয়ার্ড টিম ক্যাহিলের হ্যাটট্রিকের ওপর ভর করে বড় ব্যবধানে জয় পেয়েছে ‘সকারু’ নামে পরিচিত অস্ট্রেলিয়া ফুটবল দল। অতিথিদের অন্য গোলটি করেন অধিনায়ক মাইল জেডিনাক। গত সেপ্টেম্বরে পার্থে আগের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৫-০ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ।
প্যারিসে সন্ত্রাসী হামলায় নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করে শুরু হয় খেলা।
ষষ্ঠ মিনিটেই এগিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। অ্যারন মুইর ফ্রি কিক থেকে টিম ক্যাহিলের আলতো হেড এগিয়ে দেয় ‘সকারু’দের। বাংলাদেশের রক্ষণভাগের খেলোয়াড়রা গোলটা ঠেকানোর কোনো সুযোগই পাননি। গোলরক্ষক সোহেল কিছু বুঝে ওঠার আগেই বল চলে যায় জালে।
ম্যাচের প্রথম ১৫ মিনিট পর্যন্ত বল অস্ট্রেলিয়ার দখলে ছিল। সেই সময় তাদের গোলরক্ষক পর্যন্ত মাঝমাঠে উঠে আসেন। কিন্তু এর পরই বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা আক্রমণে উঠে অস্ট্রেলিয়াকে দুশ্চিন্তায় ফেলে দিয়েছিলেন।
১৫ মিনিটে মামুনুলের ক্রস থেকে স্ট্রাইকার জীবনের মাথা ছুঁয়ে বক্সের ঠিক সামনে বল পেয়ে যান মিডফিল্ডার জামাল ভূঁইয়া। কিন্তু তাঁর শট একটুর জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
পরের মিনিটে ডিফেন্ডার রায়হানের থ্রো থেকে জীবনের হেড পোস্টে যাওয়ার আগে দলকে বিপদমুক্ত করেন এক অস্ট্রেলীয় ডিফেন্ডার।
৩২ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে অস্ট্রেলিয়া। গোলদাতা আবারো টিম ক্যাহিল। বক্সের বাঁ-প্রান্ত থেকে অ্যারন মুইয়ের ক্রসে গোলমুখে জটলা হয়েছিল। সেই সুযোগে গোল করেন এই অভিজ্ঞ ফরোয়ার্ড।
পাঁচ মিনিট পর ব্যবধান আরো বড় করেন ক্যাহিল। সেই সঙ্গে নিজের হ্যাটট্রিকও পূর্ণ করেন তিনি। এবারো অ্যারন মুইয়ের পাস থেকে প্লেসিং শটে গোল করেন ইংলিশ ক্লাব এভারটনের সাবেক খেলোয়াড়।
আন্তর্জাতিক ফুটবলে এটা ক্যাহিলের দ্বিতীয় হ্যাটট্রিক। ‘সকারু’দের জার্সি গায়ে তাঁর গোল এখন ৪৫টি।
৪৩ মিনিটে অতিথিদের পক্ষে চতুর্থ গোল করেন অধিনায়ক জেডিনাক। পোস্টের ডান দিকে একেবারে অরক্ষিত অবস্থায় আলতো হেডে বল জালে পাঠান এই মিডফিল্ডার।
বিরতির পর আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে খেলা জমে উঠলেও স্কোরলাইনে পরিবর্তন হয়নি। বাংলাদেশ সান্ত্বনার গোলের দেখা পায়নি। আর অস্ট্রেলিয়াও ব্যবধান বাড়াতে পারেনি।
বাংলাদেশ দল :
শহীদুল আলম সোহেল, রায়হান হাসান, তপু বর্মণ, ইয়াসিন খান, নাসিরুল ইসলাম, আব্দুল বাতেন কোমল, জামাল ভূঁইয়া, মামুনুল ইসলাম, হেমন্ত ভিনসেন্ট বিশ্বাস, মোনায়েম খান রাজু ও মোহাম্মদ জীবন (আমিনুর রহমান সজীব)।