ব্ল্যাটার-প্লাতিনির শাস্তি বহাল
দুর্নীতির অভিযোগে তিন মাসের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন ফিফা ও উয়েফার সভাপতি সেপ ব্ল্যাটার ও মিশেল প্লাতিনি। দুজনই অবশ্য নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে আপিল করেছিলেন। তবে তাঁদের আপিল ধোপে টেকেনি। তিন মাসের নিষেধাজ্ঞার শাস্তি বহাল আছে ব্ল্যাটার-প্লাতিনির।
২০১১ সালে প্লাতিনিকে ২০ লাখ ডলার দেওয়া হয়েছিল ফিফার পক্ষ থেকে। এই লেনদেনের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ব্ল্যাটারের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক তদন্ত শুরু করেছিলেন সুইজারল্যান্ডের আইনজীবীরা। এর পরপরই গত ৭ অক্টোবর ব্ল্যাটার ও প্লাতিনিকে ৯০ দিনের জন্য বহিষ্কার করে ফিফার নৈতিকতা বিষয়ক কমিটি।
এ রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিল খারিজ হয়ে যাওয়ায় এখন পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আইনজীবীদের সঙ্গে আলোচনা করছেন ব্ল্যাটার। প্লাতিনি অবশ্য আপিল করতে যাচ্ছেন ক্রীড়া আদালতে। আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি ফিফা সভাপতি নির্বাচনে দাঁড়াতে আগ্রহী ফ্রান্সের এই কিংবদন্তি ফুটবলার। কিন্তু বহিষ্কারাদেশের কারণে কোনোরকম প্রচার চালাতে পারছেন না তিনি।
ছয় মাস ধরে ফিফার দুর্নীতি নিয়ে তোলপাড় চলছে ফুটবল-বিশ্বে। অনৈতিকভাবে দেড় কোটির বেশি ডলার লেনদেন করার অভিযোগে ফিফার কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। গত ২৭ মে জুরিখে ফিফা কংগ্রেস শুরু হওয়ার ঠিক আগে একটি হোটেল থেকে তাদের গ্রেপ্তার করেছিল সুইস পুলিশ। ৩০ মে টানা পঞ্চমবারের মতো ফিফা সভাপতি নির্বাচিত হলেও তার চার দিন পরই সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়ে ফুটবলাঙ্গনে হৈচৈ ফেলে দিয়েছিলেন ব্ল্যাটার। দুর্নীতির অভিযোগে মহাসচিব জেরোম ভালকে বহিষ্কার হওয়ায় আরো বিপাকে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা।