মাশরাফি-ঝড়ে কুমিল্লার দারুণ জয়
বল হাতে তেমন ভালো করতে পারেননি। তবে ব্যাট হাতে সেই ‘ক্ষতি’ পুষিয়ে দিয়েছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। অধিনায়ক মাশরাফি এবং ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যান মারলন স্যামুয়েলসের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে বিপিএলে চিটাগং ভাইকিংসকে সহজেই সাত উইকেটে হারিয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস। অর্ধশতক করে অপরাজিত ছিলেন দুজনই। দ্বিতীয় ম্যাচে কুমিল্লার এটা প্রথম জয়। আর তৃতীয় ম্যাচ খেলতে নামা চট্টগ্রামের দলটির দ্বিতীয় হার।
স্পট ফিক্সিংয়ের দায়ে পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞার শাস্তি পেলেও মোহাম্মদ আমিরের বোলিংয়ের ধার কমেনি একটুও। এবারের বিপিএলে পাকিস্তানের এই বাঁ-হাতি পেসার দারুণ ছন্দে আছেন। রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে আগের ম্যাচে নিয়েছিলেন চার উইকেট। মঙ্গলবার কুমিল্লার বিপক্ষে প্রথম স্পেলে আমিরের শিকার ছিল দুটি।
আমিরের করা ইনিংসের প্রথম ওভারেই বিদায় নিয়েছেন ইমরুল কায়েস (০)। জাতীয় দলের ওপেনার ফ্লিক করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু টাইমিংয়ে গোলমাল হওয়ায় বল উঠে গেছে আকাশে। মিড-অনে থাকা তামিম ইকবালের ক্যাচটা ধরতে একটুও সমস্যা হয়নি।
আমিরের পরের ওভারে আবার কুমিল্লার জন্য ধাক্কা। এবার খাটো লেংথের বল পুল করতে গিয়ে মিড উইকেটে জিয়াউর রহমানের হাতে ধরা পড়েছেন লিটন দাস (৯)।
দলীয় ১০ রানে দুই ওপেনারকে হারালেও শুভাগত হোম আর মারলন স্যামুয়েলসের দৃঢ়তায় ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস। ১৬ বলে ৩০ রান করা শুভাগতকে ফিরিয়ে চট্টগ্রাম দলে স্বস্তি ফিরিয়ে আনেন শফিউল ইসলাম। অনেকখানি দৌড়ে, দারুণ দক্ষতায় বল তালুবন্দি করেন তিলকারত্নে দিলশান।
৫৪ রানে তৃতীয় উইকেট পতনের পর জুটি বাঁধেন মাশরাফি-স্যামুয়েলস। দুজনের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ভাইকিংসের বোলিং আক্রমণ তছনছ হয়ে গেছে। ৩২ বলে ৫৬ রান করে অপরাজিত ছিলেন মাশরাফি। স্যামুয়েলস ৫২ বলে ৬৯ রান করে অপরাজিত ছিলেন। দুজনের আক্রমণাত্মক ব্যাটিং সাত বল আগেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসকে। অবশ্য প্রতিপক্ষের তিন-তিনটি ক্যাচ মিসও ভালোই সাহায্য করেছে বিজয়ীদের।