তামিমের দলকে উড়িয়ে ঢাকার সহজ জয়
মাত্র ৯২ রান নিয়ে কি লড়াই করা যায়? চিটাগং কিংসের বোলাররা এত অল্প পুঁজি নিয়ে একদমই লড়াই করতে পারলেন না। আর তাই ঢাকা ডায়নামাইটসের কাছে বিধ্বস্ত তামিমের দল। বৃহস্পতিবার বিপিএলের দ্বিতীয় ম্যাচে নাসির-মুস্তাফিজ-সাঙ্গাকারাদের দল জিতেছে অতি সহজে, ছয় উইকেটে।
তৃতীয় ম্যাচে ঢাকা ডায়নামাইটসের এটা দ্বিতীয় জয়। অন্যদিকে চতুর্থ ম্যাচে চট্টগ্রামের দলটির তৃতীয় হার।
শাদমান ইসলামের বয়স ২০ বছর। সৈকত আলী তাঁর চেয়ে এক বছরের বড়। দুজনের কারোরই এখনো জাতীয় দলে খেলার সৌভাগ্য হয়নি। তবে অনভিজ্ঞতাকে পাত্তা না দিয়ে দুজনই খেলেছেন নির্ভিক চিত্তে।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে দুই ওপেনার শাদমান আর সৈকতের আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে ছয় ওভারে ৪৫ রানের উদ্বোধনী জুটি পেয়ে গেছে ঢাকা ডায়নামাইটস। ফিল্ডিংয়ের সীমাবদ্ধতা কেটে যাওয়ার পরই অবশ্য প্রথম সাফল্য পেয়েছে চিটাগং ভাইকিংস। সপ্তম ওভারের প্রথম বলে শফিউল ইসলামকে তুলে মারতে গিয়ে জিয়াউর রহমানের হাতে ধরা পড়েছেন সৈকত। তাঁর ১৭ বলে ২৩ রানের আক্রমণাত্মক ইনিংসটা গড়ে উঠেছে দুটি চার ও একটি ছক্কায়।
সৈকতের বিদায়ের পর অন্য ওপেনার শাদমানের সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন পাকিস্তানের নাসির জামশেদ। দুই বাঁহাতির দৃঢ়তায় জয়ের পথে এগিয়ে গেছে ঢাকা ডায়নামাইটস। জামশেদ (১২) অবশ্য জয় নিয়ে মাঠ থেকে ফিরতে পারেননি। নাঈম ইসলামের বলে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে লং-অফে ক্যাচ দিয়েছেন জিয়াউরকে। নিজের পরের ওভারে নাসির হোসেনকেও (২) বোল্ড করেছেন নাঈম।
তবে তাতে ঢাকা ডায়নামাইটসের জয় আটকায়নি। ৪৭ বলে ছয়টি চারসহ ৪৫ রান করা শাদমানকেও নাঈম বোল্ড করলেও ১৭ বল হাতে রেখে লক্ষ্যে পৌঁছে গেছে ঢাকার দলটি।
তিন ওভার বল করে মাত্র সাত রানের বিনিময়ে তিন উইকেট নিলেও চিটাগং ভাইকিংসের আরেকটি হার ঠেকাতে পারেননি নাঈম।