লু্ইসের শতকে মাহমুদউল্লাহর দলের বড় জয়
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ব্যাটসম্যানরা চার-ছক্কার ‘ঝড়’ তুললেও শতক সাধারণত কমই হয়। এবারের বিপিএলও প্রথম ১৫টি ম্যাচ শতকের দেখা পায়নি। অবশেষে ১৬তম ম্যাচে ‘সেঞ্চুরিয়ান’ পেল বিপিএলের তৃতীয় আসর। এভিন লুইসের চমৎকার শতকের সুবাদে ঢাকা ডায়নামাইটসকে সহজেই ৯ উইকেটে হারিয়েছে বরিশাল বুলস। ১৫৯ রানের লক্ষ্যে মাহমুদউল্লাহর দল পৌঁছে গেছে ৮ বল হাতে রেখেই।
পঞ্চম ম্যাচে বরিশালের এটি চতুর্থ জয়। ৮ পয়েন্ট নিয়ে তারাই এখন প্রতিযোগিতার শীর্ষে। অন্যদিকে পঞ্চম ম্যাচে ঢাকার এটা দ্বিতীয় হার।
২৩ বছরের এভিন লুইসের এখনো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়নি। তবে মঙ্গলবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে তাঁর ব্যাটের ঝড়ে স্রেফ উড়ে গেছে ঢাকা ডায়নাইমাইটস। রথী-মহারথী ব্যাটসম্যানদের পেছনে ফেলে এই ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যানই এখন তৃতীয় বিপিএলের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ইনিংসের মালিক।
লুইসের সঙ্গে রনি তালুকদারের ১২৭ রানের উদ্বোধনী জুটি বরিশাল বুলসের সহজ জয়ের ভিত গড়ে দিয়েছে। আবুল হাসানের বলে লাহিরু থিরিমান্নের হাতে ধরা পড়ার আগে ৩৮ রান করেছেন রনি। ৩৪ বলের ইনিংসটিতে ছিল তিনটি চার ও একটি ছক্কা।
১৩ ওভার চার বল স্থায়ী দুর্দান্ত উদ্বোধনী জুটির জন্যই জয় নিয়ে ভাবতে হয়নি বরিশালকে। অপেক্ষা ছিল শুধু লুইসের শতকের। অবশেষে ১৮তম ওভারের শেষ বলে এল সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। মুস্তাফিজুর রহমানের বল লেগসাইডে ঠেলে, দ্রুত একটি রান নিয়ে আনন্দে শূন্যে লাফিয়ে উঠেছেন লুইস। উচ্ছ্বাস হওয়ারই কথা। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এটাই যে তাঁর প্রথম শতক।
তিন অঙ্ক ছোঁয়ার আনন্দে বিভোর লুইসকে আউট করতে পারেনি ঢাকা ডায়নামাইটস। তাঁর ৬৫ বলে অপরাজিত ১০১ রানের অসাধারণ ইনিংসটা সাজানো ছিল ৭টি চার ও ৬টি বিশাল ছক্কায়। অন্যপ্রান্তে ১৫ রানে অপরাজিত ছিলেন মেহেদি মারুফ।