বরিশালের বিপক্ষে সিলেটের দাপুটে জয়
বরিশাল বুলসকে মাত্র ৫৮ রানেই গুটিয়ে দিয়ে দলকে জয়ের পথে অনেকখানিই এগিয়ে দিয়েছিলেন সিলেট সুপারস্টার্সের বোলাররা। ব্যাট হাতে বাকি কাজটা সারতে খুব বেশি কষ্ট করতে হয়নি ব্যাটসম্যানদের। ধীরস্থীর ব্যাটিং করে ৯ উইকেটের বড় জয় তুলে নিয়েছে সিলেট। ৫৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১১.২ ওভারের মধ্যেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে গেছে আফ্রিদি-মুশফিকরা।
প্রথম ওভারে দিলশান মুনাবিরার উইকেট হারিয়ে শুরুটা ভালো না হলেও আর হতাশ হতে হয়নি সিলেটকে। দ্বিতীয় উইকেটে ৬২ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে দলকে নিরাপদেই জয়ের বন্দরে নিয়ে গেছেন জুনায়েদ সিদ্দিকী ও নুরুল হাসান। ৩৭ বলে ৩৪ রান করে অপরাজিত ছিলেন জুনায়েদ। নুরুলের ব্যাট থেকে এসেছে ২৩ রান। বরিশালের বিপক্ষে দাপুটে এই জয় দিয়ে শিরোপা জয়ের লড়াইয়েও টিকে আছে সিলেট।
সাত ম্যাচ শেষে ৪ পয়েন্ট নিয়ে এখনো অবশ্য পয়েন্ট তালিকার শেষেই আছে মুশফিক-আফ্রিদিদের দল। গ্রুপ পর্বের বাধা পেরোতে হলে নিজেদের বাকি তিনটি ম্যাচেও জিততে হবে সিলেটকে। অন্যদিকে সিলেটের বিপক্ষে রোববারের এই ম্যাচ জিততে পারলেই পরবর্তী রাউন্ড প্রায় নিশ্চিত করে ফেলতে পারত বরিশাল। সাত ম্যাচ শেষে ১০ পয়েন্ট নিয়ে তারা আছে দ্বিতীয় স্থানে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের মারমুখী ওপেনার ক্রিস গেইল সিলেটের বিপক্ষেই খেলেছেন এবারের বিপিএলের প্রথম ম্যাচ। তাঁকে পেয়েও সবচেয়ে কম রানে অলআউট হওয়ার লজ্জায় ডুবতে হয়েছে বরিশালকে। মোহাম্মদ সামির ১৬ ও এভিন লুইসের ১২ রানের সুবাদে স্কোরবোর্ডে মাত্র ৫৮ রান জমা করতে পেরেছিল মাহমুদউল্লাহর দল। এই দুজনই পেরোতে পেরেছেন দুই অঙ্কের কোটা।
অন্যদিকে আফ্রিদি দারুণভাবে বদলে দিয়েছেন সিলেটকে। চিটাগং ভাইকিংসের বিপক্ষে এর আগের ম্যাচে ৬২ রানের দারুণ ইনিংস খেললেও জয় এনে দিতে পারেননি দলকে। বরিশালের বিপক্ষে তাঁর হাতেই দেওয়া হয়েছিল নেতৃত্বের ভার। আর সেই দায়িত্ব খুব দারুণভাবেই পালন করেছেন আফ্রিদি। ব্যাট হাতে উইকেটে আসতে হয়নি। তবে বল হাতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন দলকে। চার ওভার বল করে মাত্র ৫ রানের বিনিময়ে নিয়েছেন দুটি উইকেট।