সাকিবদের হারিয়ে ফাইনালে মাশরাফির কুমিল্লা
মাশরাফি বিন মুর্তজার নেতৃত্বে বাংলাদেশের ক্রিকেট উঠেছে নতুন উচ্চতায়। ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতা, বিপিএলেও দারুণভাবে এগিয়ে যাচ্ছে গেছে মাশরাফির দল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস। প্রথম কোয়ালিফায়ারে সাকিব আল হাসানের রংপুর রাইডার্সকে ৭২ রানে হারিয়ে শিরোপা জয়ের পথে অনেকখানি এগিয়ে গেছে কুমিল্লা। সরাসরি পা রেখেছে ফাইনালে। জয়ের জন্য ১৬৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১৭ ওভারের মধ্যে ৯১ রানেই গুটিয়ে গেছে সাকিবের রংপুর। ব্যাট হাতে ১৫ বলে ৪০ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলার পর বল হাতেও চারটি উইকেট নিয়ে কুমিল্লার জয়ের নায়ক আসার জাইদি।
প্রথম কোয়ালিফায়ারে হারের মুখ দেখলেও ফাইনালে ওঠার আশা শেষ হয়ে যায়নি সাকিবদের। ফাইনালের টিকেট পাওয়ার জন্য এখন রংপুরকে খেলতে হবে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার। এলিমিনেটর ম্যাচে বরিশাল বুলস ও ঢাকা ডায়নামাইটসের মধ্যে যারা জিতবে, তাদের সঙ্গে ফাইনালে যাওয়ার অন্তিম লড়াইয়ে মুখোমুখি হতে হবে রংপুরকে।
কুমিল্লার বিপক্ষে জয়ের জন্য ১৬৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ৩৬ রান যোগ করে শুরুটা ভালোভাবেই করেছিলেন রংপুর রাইডার্সের দুই ওপেনার সৌম্য সরকার ও লেন্ডল সিমন্স। কিন্তু পঞ্চম ওভারে দুর্দান্ত বোলিং করে এই দুজনকেই সাজঘরে ফিরিয়েছেন বাঁহাতি পেসার আবু হায়দার। ৯ রান করে স্কয়ার লেগে শুভাগত হোমের হাতে ধরা পড়েছেন সৌম্য। পরের বলেই দারুণ এক ডেলিভারিতে সিমন্সকে বোল্ড করেছেন হায়দার। ২৫ রান করে ফিরে গেছেন সিমন্স। অষ্টম ওভারে আবার রংপুরকে হোড়া ধাক্কা দিয়েছেন আসার জাইদি। টানা দুই বলে তুলে নিয়েছেন মোহাম্মদ মিথুন (৫) ও অধিনায়ক সাকিবের (০) উইকেট। এরপর আর কোনো উল্লেখযোগ্য প্রতিরোধ গড়তে পারেননি রংপুরের ব্যাটসম্যানরা। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পতনের মধ্য দিয়ে ৯১ রানেই থেমে গেছে রংপুরের ইনিংস।
কুমিল্লার পক্ষে দারুণ বোলিং করেছেন জাইদি। চার ওভার বল করে মাত্র ১১ রানের বিনিময়ে নিয়েছেন চারটি উইকেট। বাঁহাতি পেসার আবু হায়দারও ভালো ভুগিয়েছেন রংপুরের ব্যাটসম্যানদের। তিন ওভার বল করে ১৯ রানের বিনিময়ে নিয়েছেন চারটি উইকেট।