ঢাকাকে হারিয়ে সাকিবের রংপুরের সামনে বরিশাল
শেষ চার ওভারে প্রয়োজন ৫৪ রান, হাতে পাঁচ উইকেট। ঢাকা ডায়নামাইটস তখন ভীষণ চাপে। এরপরই ম্যালকম ওয়ালার ও মোসাদ্দেক হোসেনের আক্রমণাত্মক ব্যাটিং জয়ের স্বপ্ন দেখাচ্ছিল তাদের। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। বিপিএলের এলিমিনেটর ম্যাচ ১৮ রানে জিতে ফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রেখেছে বরিশাল বুলস। রোববার দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে বরিশালের প্রতিপক্ষ সাকিব আল হাসানের রংপুর রাইডার্স। এই ম্যাচের বিজয়ী দল আগামী মঙ্গলবার অনুষ্ঠেয় ফাইনালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের মুখোমুখি হবে।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ঢাকা ডায়নামাইটসের সামনে তেমন বড় লক্ষ্য ছিল না। তবে ১৩৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই উইকেট হারিয়ে, হোঁচট খেতে খেতে এগিয়েছে ঢাকার ইনিংস। দুই ওপেনারের মধ্যে ফরহাদ রেজা (২০) কিছুটা সাফল্য পেলেও আবুল হাসান (১১) বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। মোহাম্মদ হাফিজ তো চরম ব্যর্থ। মাত্র এক রান করে কেভন কুপারের বলে আউট হয়ে গেছেন পাকিস্তানের এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার।
তবে ঢাকা ডায়নামাইটসকে সবচেয়ে বড় ধাক্কা দিয়েছেন আল আমিন হোসেন। প্রতিপক্ষ অধিনায়ক কুমার সাঙ্গাকারাকে ফেরানোর কৃতিত্ব এই পেসারেরই। আল আমিনকে ফিরতি ক্যাচ দেওয়া শ্রীলঙ্কার সফলতম ব্যাটসম্যানের অবদান মাত্র ১০ রান।
ঢাকার আইকন খেলোয়াড় নাসির হোসেনও আল আমিনের শিকার। মাহমুদউল্লাহকে ক্যাচ দেওয়ার আগে ১৬ রান করতে পেরেছেন নাসির।
নিয়মিত উইকেট পতনের সঙ্গে সঙ্গে আস্কিং রান রেটও বেড়ে যাচ্ছিল লাফিয়ে লাফিয়ে। মোহাম্মদ সামির করা ১৭তম ওভারে দুই ছক্কা ও একটি চারে ২০ রান নিয়ে ঢাকাকে আশার আলো দেখিয়েছিলেন ওয়ালার। তাইজুল ইসলামের পরের ওভারে মোসাদ্দেকের ছক্কাও নাসির-সাঙ্গাকারাদের দলকে জয়ের পথে এগিয়ে দিয়েছিল। তবে সেই ওভারের শেষ দুই বলে ওয়ালার (১৮) আর মোসাদ্দেককে (২৬) আউট করে বরিশালের সব দুশ্চিন্তা দূর করে দিয়েছেন বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল। তিনটি করে উইকেট নিয়ে মাহমুদউল্লাহর দলের জয়ে বড় অবদান আল আমিন আর কুপারেরও।