মাহমুদউল্লাহ-নাফীসের ব্যাটে বরিশালের লড়াইয়ের সংগ্রহ
একাদশ ওভারে যখন ব্যাট করতে নেমেছিলেন, ৬৮ রানে তিন উইকেট হারিয়ে কিছুটা অস্বস্তিতে ছিল বরিশাল বুলস। তবে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের বিপক্ষে বিপিএলের ফাইনালে দুর্দান্ত ব্যাটিং করে দলকে লড়াই করার পুঁজি এনে দিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। অধিনায়কের সঙ্গে শাহরিয়ার নাফীসের মাত্র ৫৬ বলে ৮১ রানের চমৎকার জুটির সুবাদে বরিশালের সংগ্রহ চার উইকেটে ১৫৬ রান।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে শুরুতে কিছুটা ধীর-স্থির ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। তবে ইনিংসের ১৫তম ওভারে মাশরাফি বিন মুর্তজার ওপরে চড়াও হয়েছেন তিনি। সেই ওভারে দুটি চার ও একটি ছক্কায় ১৬ রান তুলে নিয়েছেন বরিশাল বুলসের অধিনায়ক।
মাহমুদউল্লাহর ঝড়ো ব্যাটিংয়ে উজ্জীবিত হয়ে নাফীসও শুরু করেছেন আক্রমণ। তাই আবু হায়দারের করা ইনিংসের ১৯তম ওভারে ১৮ রান উপহার পেয়েছে বরিশাল। শেষ ওভারে আউট হওয়া মাহমুদউল্লাহর অবদান ৪৮ রান। ৩৬ বলের অধিনায়কোচিত ইনিংসটি সাজানো ছয়টি চার ও একটি ছক্কায়। দুটি চার ও তিনটি ছক্কায় ৩১ বলে ৪৪ রান করে অপরাজিত ছিলেন নাফীস।
ক্রিস গেইল না থাকলে কী হবে, ক্যারিবীয় আক্রমণাত্মক ওপেনারের ভূমিকায় যেন অবতীর্ণ হয়েছিলেন সিক্কুগে প্রসন্ন। দুটি করে চার ও ছক্কা মেরে বরিশাল বুলস সমর্থকদের উল্লাসে মাতিয়ে দিয়েছিলেন এই শ্রীলঙ্কান অলরাউন্ডার। তবে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ১৯ বলে ৩৩ রান করা প্রসন্নকে বোল্ড করে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসকে লড়াইয়ে ফিরিয়েছেন ড্যারেন স্টিভেন্স। তিন ওভার আবার বরিশালের জন্য ধাক্কা, কুমিল্লার অধিনায়ক মাশরাফির দুর্দান্ত বলে সাব্বির রহমান (৯) বোল্ড। নিজের শেষ ওভারটা ভালো না কাটলেও চার ওভারে ২৮ রানে এক উইকেট নিয়েছেন মাশরাফি।
এর আগে ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই মেহেদি মারুফকে (১১) এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলে কুমিল্লাকে দারুণ সূচনা এনে দিয়েছেন আশার জাইদি।
বল মাঠে গড়ানোর আগেই একটা সাফল্য পেয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস। টস জিতেছেন কুমিল্লার অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা এবং টস জিতে প্রতিপক্ষ বরিশাল বুলসকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তিনি।
ফাইনালে একটি তথ্য কুমিল্লাকে অবশ্যই উজ্জীবিত করবে। প্রতিযোগিতার লিগ পর্বে দুবারই বরিশালকে সহজে হারিয়েছিল তারা। প্রথম ম্যাচে আট উইকেটে আর ফিরতি ম্যাচে সাত উইকেটে।
মুখোমুখি লড়াইয়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস এগিয়ে থাকলেও প্রতিযোগিতায় দুই দলের পারফরম্যান্সই ভালো। সমান-সমানই বলা যায়। কুমিল্লা ১১টি ম্যাচ খেলে আটটিতে জিতেছে আর তিনটিতে হেরেছে। অন্যদিকে বরিশাল ১২টি ম্যাচ খেলে নয়টি জিতেছে এবং তিনটি হেরেছে।