গ্যালারিতে তিলধারণের ঠাঁই নেই
এবারের বিপিএলে প্রত্যাশিত দর্শক হচ্ছে না, কিছুদিন ধরেই কথাটা শোনা যাচ্ছিল। তবে শেষ চারের লড়াই থেকে দর্শকদের আগ্রহ বাড়তে শুরু করে। ফাইনালকে ঘিরে তো ক্রিকেটপ্রেমীদের বিপুল আগ্রহ। কানায়-কানায় পরিপূর্ণ মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের গ্যালারি।
খেলা শুরু হওয়ার পরও স্টেডিয়ামের বাইরে আট-দশ হাজার মানুষ টিকেট নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন মাঠে ঢোকার জন্য। অথচ গেটের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরা সুযোগ বুঝে টিকেট ছাড়াই বেশ কিছু দর্শককে মাঠে ঢুকিয়ে দিয়েছেন। এক নম্বর এবং চার নম্বর গেটে এমন ঘটনা সবচেয়ে বেশি দেখা গেছে।
বনানী থেকে আসা মিসবাহউদ্দিন চার নম্বর গেটের সামনে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন প্রায় এক ঘণ্টা ধরে। অভিযোগের সুরে তিনি এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘ভাই, দীর্ঘক্ষণ এক জায়গায় দাঁড়িয়ে আছি। কিন্তু লাইনটা শেষই হচ্ছে না। অথচ পুলিশ টিকেট ছাড়াই বেশ কিছু দর্শক মাঠে ঢুকিয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে হয়তো আমাদের মাঠে ঢোকা কষ্টকর হয়ে যাবে। ঢুকতে পারলেও বেশ কয়েক ওভার মিস করব।’
তবে সবচেয়ে বেশি কষ্ট বোধহয় বরিশাল থেকে আসা হাবিবুর রহমানের। এই গেইল-ভক্ত বলেন, ‘বড় আশা করে গেইলের খেলা দেখতে এসেছিলাম। কিন্তু ঢাকায় এসেই শুনলাম গেইল নেই। তিনি আগেই চলে গেছেন। লঞ্চে করে আজ সকালেই ঢাকায় এসে এক আত্মীয়ের বাসায় কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে দুপুরে স্টেডিয়ামে চলে এসেছি। খুব কষ্ট করে একটা টিকেট জোগাড় করেই লাইনে দাঁড়িয়েছি। কিন্তু এখন দেখছি মাঠে ঢোকাই প্রায় অসম্ভব।’
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের সমর্থক সায়মা হোসেন মগবাজার থেকে স্বামী শামীম হোসেনের সঙ্গে খেলা দেখেতে এসেছেন। অনেক কষ্ট হলেও শেষ পর্যন্ত মাঠে ঢুকতে পেরে তিনি উচ্ছ্বসিত, ‘এর আগে কখনো স্টেডিয়ামে এসে খেলা দেখিনি। এবারই প্রথম এলাম। বেশ কষ্ট হলেও মাঠে ঢুকতে পেরেছি বলে খুব ভালো লাগছে। অবশ্য ক্রিকেট খেলাটা আমি খুব একটা বুঝি না। তবে খেলা দেখার আগ্রহ ছিল। সে কারণেই এসেছি। আমি কুমিল্লার মেয়ে বলে মনে-প্রাণে কামনা করছি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস যেন শিরোপা জেতে।’