সুয়ারেজের হ্যাটট্রিকে বার্সার বিশাল জয়
খেলা শুরুর আগে লিওনেল মেসির হাতে পঞ্চম ফিফা ব্যালন ডি’অর ট্রফি দেখে উল্লাসে ফেটে পড়েছিল বার্সেলোনার সমর্থকরা। ম্যাচ শেষেও তারা খুশি মনে বাড়ি ফিরেছে। লুইস সুয়ারেজের হ্যাট্রটিকে তাদের প্রিয় দল যে স্প্যানিশ লা লিগায় ৬-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে অ্যাথলেতিক বিলবাওকে। এমন উচ্ছ্বাসে কাঁটা হয়ে বিঁধতে পারত মেসির চোট। তবে দলের সবচেয়ে বড় তারকার বড় ধরনের চোটের আশঙ্কা উড়িয়ে সমর্থকদের আশ্বস্ত করেছেন বার্সা কোচ লুইস এনরিকে।
বার্সার মাঠ ন্যু ক্যাম্পে ম্যাচের সপ্তম মিনিটেই ‘নাটক’। বিলবাওয়ের গোলরক্ষক গোর্কা ইরাইসোসকে কাটিয়ে গোল করতে উদ্যত হয়েছিলেন সুয়ারেজ। তবে পারেননি, ইরাইসোস ফাউল করায় মাটিতে পড়ে যান বার্সার উরুগুইয়ান স্ট্রাইকার। তাতে অবশ্য ক্ষতি হয়নি স্প্যানিশ চ্যাম্পিয়নদের। বার্সা পেনাল্টি তো পেয়েছেই, লাল কার্ড দেখে বেরিয়ে যেতে হয়েছে ইরাইসোসকে। বদলি গোলরক্ষক ইয়াগো হেরেরিনকে ঠান্ডা মাথায় পরাস্ত করে দলকে এগিয়ে দিতে সমস্যা হয়নি মেসির। ৩১ মিনিটে বার্সার দ্বিতীয় গোলেও বড় অবদান সুয়ারেজের। তাঁর পাস থেকেই মৌসুমের ১৯তম গোলের আনন্দে মেতে ওঠেন নেইমার।
বিরতির পর হ্যামস্ট্রিং সমস্যার কারণে মাঠে নামেননি মেসি। তবে তাতে গোলজোয়ার থেমে যায়নি। ৪৭, ৬৮ ও ৮২ মিনিটে সুয়ারেজের তিন গোল বিশাল জয় উপহার দিয়েছে বার্সেলোনাকে। মাঝে ৬২ মিনিটে অন্য গোলটি করেছেন ইভান রাকিতিচ। ১৮টি গোল নিয়ে সুয়ারেজই এখন লা লিগার সর্বোচ্চ গোলদাতা।
গত বছরের শেষ দিকে চোটের কারণে প্রায় দুই মাস মাঠের বাইরে থাকতে হয়েছিল মেসিকে। বছরের শুরুতে আবারো চোট শঙ্কায় ফেলে দিয়েছিল মেসি-ভক্তদের। তবে সবাইকে আশ্বস্ত করে এনরিকে বলেছেন, ‘ওর পেশিতে সামান্য টান পড়েছে। তাই আমরা কোনো ঝুঁকি নিতে চাইনি। ২-০ গোলে এগিয়ে থাকার সময় ঝুঁকি নেওয়ার কোনো কারণও নেই।’