কতটা গুরুতর মুস্তাফিজের চোট?
বেশ কিছুদিন ধরেই বাঁ কাঁধে ব্যথা অনুভব করছেন মুস্তাফিজুর রহমান। বিশেষ করে কাটার বা উল্টো দিকে হাত ঘুরিয়ে একটা ‘বিশেষ’ বল করার সময় কেমন জানি অস্বস্তি বোধ হচ্ছে তাঁর। যদিও এই সমস্যাকে খুব একটা পাত্তা না দিয়ে ব্যথানাশক ইনজেকশন নিয়ে বা ওষুধ খেয়ে খেলে যাচ্ছিলেন এই প্রতিভাবান বাঁহাতি পেসার। তবে দলের অন্যতম সম্পদকে নিয়ে কোনোরকম ঝুঁকি নিতে রাজি নয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বেশ দীর্ঘ মেয়াদেই মুস্তাফিজের চিকিৎসা করানোর পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে দেশের ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
এ ব্যথার জন্যই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ দুই ম্যাচে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে মুস্তাফিজকে। অবশ্য তিনি খুলনায় বাংলাদেশ দলের সঙ্গেই থাকছেন। সেখানে তাঁর চোটের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করবেন জাতীয় দলের ফিজিও বায়জেদুল ইসলাম। সিরিজ শেষে ঢাকায় ফেরার পরই মুস্তাফিজের চিকিৎসা শুরু করা হবে বলে জানিয়েছে বিসিবি।
ব্যথাটা খুব বেশি নয়। তবু মুস্তাফিজকে নিয়ে বিসিবি একটু বেশিই সতর্ক বলে জানিয়েছেন অন্যতম নির্বাচক হাবিবুল বাশার, ‘বয়সে তরুণ বলে মুস্তাফিজকে নিয়ে আমরা ভীষণ সতর্ক। আর সে কারণে শেষ দুই ম্যাচের দলে রাখা হয়নি তাকে।’
বিসিবির চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী দীর্ঘ মেয়াদে চিকিৎসারই পক্ষে। তিনি বলেছেন, ‘মুস্তাফিজের চোট তেমন গুরুতর নয়। তবে এখনই চিকিৎসা না করালে ধীরে ধীরে তা বাড়তে পারে। তাই দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা করানো উচিত। বিসিবিও সে রকমই চিন্তাভাবনা করছে। অচিরেই তার চিকিৎসা ও পুনর্বাসন প্রক্রিয়া শুরু হবে।’
আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ৬ মার্চ বাংলাদেশে বসতে যাচ্ছে এশিয়া কাপের ১৪তম আসর। মার্চ-এপ্রিলে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতির সুবিধার জন্য এবারের এশিয়া কাপের ম্যাচগুলো হবে ২০ ওভারের। ঘরের মাঠে এশিয়ার সেরা টুর্নামেন্টে মুস্তাফিজ খেলতে পারবেন তো?
দেবাশীষ চৌধুরী অবশ্য এখনই এ ব্যাপারে কিছু বলতে রাজি নন, ‘বিষয়টা এখনো বোঝা যাচ্ছে না। মুস্তাফিজকে কত দিন খেলার বাইরে থাকতে হবে, তা নির্ভর করছে পরিস্থিতির ওপরে। তা ছাড়া তার সমস্যা এখনো ভালোভাবে নিরূপণ করা যায়নি। ভিডিও ফুটেজ দেখে, তার সঙ্গে কথা বলে এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পরই সমস্যাটা বোঝা যাবে।’