প্রথম হার দেখল খুলনাবাসী
২০০৬ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের মর্যাদা পেলেও খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে আয়োজিত হয়েছে হাতেগোনা কয়েকটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ। এ নিয়ে আক্ষেপ-আফসোসও করতে হয় খুলনাবাসীকে। তবে একদিক দিয়ে এই স্টেডিয়াম নিয়ে গর্বেরও অন্ত ছিল না তাঁদের।
খুলনায় খেলতে গিয়ে যে একবারও হারের মুখ দেখতে হয়নি বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের। খুলনাবাসীর এই গর্বের রেকর্ডটি অবশ্য আর টিকিয়ে রাখতে পারলেন না মাশরাফিরা। বুধবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৩১ রানে হারের ফলে প্রথমবারের মতো হারের তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে স্টেডিয়াম ছাড়তে হয়েছে খুলনার ক্রিকেট সমর্থকদের।
২০০৬ সালের মার্চে কেনিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডে দিয়ে শুরু হয়েছিল আবু নাসের স্টেডিয়ামের যাত্রা। একই বছরের নভেম্বরে এখানে বাংলাদেশ আবার খেলেছিল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। দুটি ম্যাচেই বাংলাদেশ জিতেছিল ৯ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে। ২০০৬ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশ প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচও খেলেছিল খুলনায়। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সেই ম্যাচ জিতেছিল ৪৩ রানের ব্যবধানে।
২০০৬ সালের পর দীর্ঘ ছয় বছরের বিরতিতে, ২০১২ সালে আবার আবু নাসের স্টেডিয়ামে ফেরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। সেবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশ খেলে একটি টেস্ট ও দুটি ওয়ানডে।
টেস্ট ম্যাচটি বাংলাদেশ জিতেছিল ১০ উইকেটের ব্যবধানে। দুটি ওয়ানডেতে পেয়েছিল ৭ উইকেট ও ১৬০ রানের বড় ব্যবধানের জয়।
২০১৪ সালের নভেম্বরে আবার টেস্ট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয় খুলনায়। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সেই ম্যাচ বাংলাদেশ জিতেছিল ১৬২ রানে। ২০১৫ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল খুলনায়। দারুণ নৈপুণ্য দেখিয়ে সেই ম্যাচ ড্র করেছিল বাংলাদেশ। বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ উদ্বোধনী জুটির নতুন রেকর্ড গড়েছিলেন তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েস।
এ বছর খুলনায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের শুরুটাও বাংলাদেশ করেছিল দারুণভাবে। চার ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম দুটি ম্যাচ জিতে এগিয়ে গিয়েছিল সিরিজ জয়ের পথে। কিন্তু তৃতীয় ম্যাচে ভেঙে যায় খুলনার ‘অপরাজিত’ থাকার রেকর্ড। তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, মুস্তাফিজুর রহমানদের অনুপস্থিতিতে ৩১ রানের হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে বাংলাদেশকে।