বাংলাদেশের লক্ষ্য ৩০৩ রান
বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠতে ৩০৩ রান চাই বাংলাদেশের। বৃহস্পতিবার মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে দ্বিতীয় কোয়ার্টার ফাইনালে রোহিত শর্মা আর সুরেশ রায়নার আক্রমণাত্মক ব্যাটিং ৬ উইকেটে ৩০২ রান এনে দিয়েছে ভারতকে। রোহিত ১৩৭ ও রায়না ৬৫ রান করেছেন। ৬৯ রানে তিন উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের সেরা বোলার তাসকিন আহমেদ।
টস জিতে ব্যাটিং নেওয়া ভারতের শুরুটা হয়েছিল দুর্দান্ত। উদ্বোধনী জুটিতে দলকে ৭৫ রান উপহার দেন রোহিত শর্মা ও শিখর ধাওয়ান। হতাশায় আক্রান্ত বাংলাদেশকে প্রথম সাফল্য এনে দেওয়ার কৃতিত্ব সাকিব আল হাসানের। সপ্তদশ ওভারে বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলেন ৩০ রান করা ধাওয়ানকে।
পরের ওভারেই রুবেল হোসেনের আঘাত। ইংল্যান্ড-বধের অন্যতম নায়কের অফস্টাম্পের একটু বাইরে পিচ পড়া বল ড্রাইভ করতে চেয়েছিলেন বিরাট কোহলি। নিচু ক্যাচ দারুণ দক্ষতায় গ্লাভসবন্দি করে বাংলাদেশকে দ্বিতীয় সাফল্য এনে দেন মুশফিকুর রহিম। ভারতের সেরা ব্যাটসম্যানের অবদান মাত্র তিন রান।
২৮তম ওভারের শেষ বলে মাশরাফির দলকে তৃতীয় উইকেট এনে দেন তাসকিন আহমেদ। এক্সট্রা কাভারের ওপর দিয়ে তুলে মারতে গিয়ে সাকিবের হাতে ধরা পড়েন অজিঙ্কা রাহানে (১৯)।
১১৫ রানে তৃতীয় উইকেট হারানোর পর রোহিত-রায়নার ১২২ রানের জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় ভারত। বিশ্বকাপে প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পাওয়া রোহিত অবশ্য ভাগ্যবান। ব্যক্তিগত ৯০ রানে ডিপ মিডউইকেটে সহজ ক্যাচ দিয়েও স্কয়ার লেগ আম্পায়ার আলিম দারের বিতর্কিত সিদ্ধান্তে বেঁচে গেছেন। রুবেল হোসেনের ফুল টস বল রোহিতের কোমরের ওপরে ওঠার অভিযোগ টিভি রিপ্লেতে ভুল বলেই মনে হয়েছে।
শেষ পর্যন্ত রোহিত ফিরেছেন ১৩৭ রান করে। ১২৬ রানের আক্রমণাত্মক ইনিংসটা সাজানো ১৪টি চার ও তিনটি ছক্কায়। ৫৭ বলে ৭টি চার ও একটি ছক্কায় রায়নার অবদান ৬৫ রান। শেষ দিকে রবীন্দ্র জাদেজার ১০ বলে ২৩ রানের ‘ক্যামিও’ ইনিংস ৩০০--এর ওপরে নিয়ে গেছে ভারতকে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
ভারত : ৫০ ওভারে ৩০২/৬ (রোহিত ১৩৭, ধাওয়ান ৩০, কোহলি ৩, রাহানে ১৯, রায়না ৬৫, ধোনি ৬, জাদেজা ২৩*, অশ্বিন ৩*; তাসকিন ৩/৬৯, রুবেল ১/৫৬, সাকিব ১/৫৮, মাশরাফি ১/৬৯)