মার্টিন ক্রোর গাপটিল-বন্দনা
বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব শেষেও তাঁকে নিয়ে তেমন আলোচনা হয়নি। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে অপরাজিত ২৩৭ রানের অবিস্মরণীয় ইনিংস খেলে মার্টিন গাপটিল আজ ইতিহাসের পাতায়। বিশ্বকাপে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ইনিংসের রেকর্ড গড়ার পর আরেক ‘মার্টিন’, নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিং-কিংবদন্তি মার্টিন ক্রোর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছিলেন তিনি। অনেকের মতে, কিউইদের সর্বকালের সেরা ব্যাটসম্যান ক্রোও গাপটিলের প্রশংসায় পঞ্চমুখ।
এই ওপেনারের ব্যাটের তাণ্ডবে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১৪৩ রানে বিধ্বস্ত করে নিউজিল্যান্ড আজ শেষ চারের লড়াইয়ে। ১৯৯২ বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডকে সেমিফাইনালে নিয়ে যেতে বড় অবদান রাখা মার্টিন ক্রো এখন ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করছেন। তবে গাপটিলের দুর্দান্ত ইনিংসটি দেখার পর তাঁকে অভিনন্দন জানিয়ে এসএমএস পাঠাতে ভোলেননি।
এসএমএসে ক্রো লিখেছেন, ‘ওএমজি।’ সাধারণত ইংরেজিতে ‘ওএমজি’ বলতে বোঝানো হয় ‘ওহ মাই গড’। কিন্তু গাপটিলের অসাধারণ ইনিংস দেখে মুগ্ধ ক্রো ‘ওএমজি’র ক্রিকেটীয় ব্যাখ্যা দিলেন এভাবে, “এটা দিয়ে ‘ওহ মার্টি গাপটিল’ও বোঝানো যেত। কিন্তু আমি আসলে বুঝিয়েছি, ‘ওহ মাই গ্যাপ’। কয়েক মাস ধরে আমরা ফিল্ডারদের অবস্থান নিয়ে নয়, বরং মাঠের ভেতর ফাঁকফোকর কীভাবে খুঁজে পাওয়া যায়, তা নিয়ে অনেক আলোচনা করেছি। এসব আলোচনায় ‘গ্যাপ’-এর দিকে যত বেশি মনোযোগ দেওয়া যাবে, তত বেশি রান করার কথাও বারবার উঠে এসেছে।”
কয়েক দিন আগে আইসিসির হল অব ফেমে অন্তর্ভুক্ত ক্রো রস টেলরকে নিয়েও আশাবাদী। এবারের বিশ্বকাপে টেলরের পারফরম্যান্স তেমন ভালো নয়। সর্বোচ্চ ৫৬ রান গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশের বিপক্ষে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪২ করেছেন কোয়ার্টার ফাইনালে। ১৯৯২ বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড় ক্রোর অবশ্য দৃঢ়বিশ্বাস, এবার জ্বলে উঠে নিউজিল্যান্ডকে স্মরণীয় জয় এনে দেবেন টেলর, ‘এ টুর্নামেন্টের সঙ্গে ক্রমে সে নিজেকে মানিয়ে নিচ্ছে। আশা করি, সব ব্যর্থতা ভুলে সে নিজেকে তুলে ধরতে পারবে।”