গাপটিলের দ্বিশতক আমাদের প্রেরণা : ম্যাককালাম
ছয়বার বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেললেও কখনো ফাইনালে উঠতে পারেনি নিউজিল্যান্ড। সপ্তম প্রচেষ্টা সফল করতে কিউইরা মরিয়া। মঙ্গলবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম সেমিফাইনালের আগে অতীত-সাফল্য নিউজিল্যান্ডকে অনুপ্রাণিত করতে পারে। বিশ্বকাপে দুই দলের আগের ছয়টি মুখোমুখি লড়াইয়ের চারটিতেই বিজয়ী দলের নাম নিউজিল্যান্ড। ব্রেন্ডন ম্যাককালাম অবশ্য ‘ইতিহাস’কে তেমন গুরুত্ব দিতে রাজি নন। সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে কিউই অধিনায়ক জানিয়েছেন, সেমিফাইনালে তাঁদের অনুপ্রেরণার উৎস মার্টিন গাপটিলের দুর্দান্ত ডাবল সেঞ্চুরি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে ১৬৩ বলে অপরাজিত ২৩৭ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলে রেকর্ড গড়েছেন গাপটিল। এটাই এখন বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস। গাপটিলের ব্যাটের ঝড়ে ক্যারিবীয়দের ১৪৩ রানে হারিয়ে নিউজিল্যান্ড আজ ফাইনালের দ্বারপ্রান্তে। ম্যাককালাম ও তাঁর সতীর্থরা ইনিংসটা দেখে মুগ্ধ, অনুপ্রাণিত। এ সম্পর্কে নিউজিল্যান্ড অধিনায়কের অভিমত, ‘এমন একটা গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে তাকে এমন ইনিংস খেলতে দেখা সত্যিই দারুণ ব্যাপার। যে ধরনের পরিকল্পনা মাথায় রেখে সে কঠোর অনুশীলন করেছিল, তাতে আমাদের মনে হচ্ছিল সে এমন ব্যাটিং করতে পারবে। ইনিংসটা দলের বাকি সদস্যের মধ্যেও আত্মবিশ্বাস ছড়িয়ে দিয়েছে।’
বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার আগে অবশ্য সমালোচনার তীরে বিদ্ধ হতে হয়েছিল গাপটিলকে। গত জানুয়ারিতে ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সাত ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে তিনবার আউট হয়েছিলেন শূন্য রানে। বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেই ৪৯ রান করলেও পরের তিন ম্যাচে তেমন ভালো খেলতে পারেননি। তবে আফগানিস্তান ও বাংলাদেশের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের শেষ দুই ম্যাচে ৫৭ ও ১০৫ রান করে ঘুরে দাঁড়ান দুর্দান্তভাবে। তারপর তো কোয়ার্টার ফাইনালে ইতিহাসগড়া ২৩৭!
ম্যাককালাম অবশ্য কখনোই গাপটিলের ওপর থেকে আস্থা হারাননি। এ প্রসঙ্গে কিউই অধিনায়কের মন্তব্য, ‘খেলায় উত্থান-পতন থাকবেই। কিন্তু আপনাকে নিজের জায়গা ধরে রেখে নিজের কাজ করে যেতে হবে। ‘গাপ’ (গাপটিল) যেভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে, বাংলাদেশের বিপক্ষে শতক আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বিস্ময়কর পারফর্ম করেছে তাতে বোঝা যায় তার মানসিক দৃঢ়তা কতখানি। এই টুর্নামেন্টে সে আমাদের খুবই গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়। আশা করি তার সব চমক ফুরিয়ে যায়নি।’