ভারত-অস্ট্রেলিয়ার ফাইনালে ওঠার লড়াই

আগের ১০টি বিশ্বকাপের ছয়টিরই শিরোপা জিতেছে ভারত আর অস্ট্রেলিয়া। অস্ট্রেলিয়া সর্বোচ্চ চারবার, আর ভারত গতবারসহ দুবার। এই মুহূর্তে ওয়ানডে র্যাংকিংয়ের প্রথম দুটি স্থানও এই দুই দলের অধিকারে। বৃহস্পতিবার সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে দ্বিতীয় সেমিফাইনাল তাই জমজমাট হওয়ারই কথা।
নিউজিল্যান্ড-দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম সেমিফাইনাল রোমাঞ্চ আর উত্তেজনায় ভরা ছিল। নাটকীয় ম্যাচে চার উইকেটে জিতে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছে কিউইরা। সিডনির সেমিফাইনাল নিয়েও তেমনই প্রত্যাশা ক্রিকেটপ্রেমীদের।
বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার অনেক আগে, গত নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে পা রেখেছিল ভারত। টেস্ট সিরিজ আর ত্রিদেশীয় ওয়ানডে টুর্নামেন্ট ব্যর্থতায় কাটলেও ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় আসর শুরু হওয়ার পর আমূল পাল্টে গেছে মহেন্দ্র সিং ধোনির দল। টানা সাত ম্যাচ জিতে উঠে গেছে সেমিফাইনালে। এবারের বিশ্বকাপে একমাত্র ভারতই সাত ম্যাচের প্রতিপক্ষকে অলআউট করতে পেরেছে।
সেমিফাইনালের আগে তাই দারুণ নির্ভার ‘টিম ইন্ডিয়া’। সিডনির পিচ নিয়ে মোটেও চিন্তিত নন ভারতের ওপেনার রোহিত শর্মা, ‘উইকেট কেমন আচরণ করবে তা কোনো ব্যাপার নয়। পেসার বা স্পিনার যাকেই সহায়তা করুক না কেন আমরা সবদিক দিয়েই প্রস্তুত আছি।’
অস্ট্রেলিয়াও আছে দুর্দান্ত ছন্দে। অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্কের বিশ্বাস, সাম্প্রতিক সময়ে ভারতের সঙ্গে টেস্ট-ওয়ানডে খেলার অভিজ্ঞতা সেমিফাইনালে তাঁদের কাজে আসবে, ‘ইদানীং আমরা ভারতের বিপক্ষে বেশ কিছু ম্যাচ খেলেছি। তাদের শক্তি আর দুর্বলতা সম্পর্কে আমাদের ভালোই ধারণা আছে। তারা খুবই ভালো দল। তবে নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারলে আমাদের পক্ষে যে কোনো দলকে হারানো সম্ভব।’