স্মিথের শতকে অস্ট্রেলিয়ার বড় সংগ্রহ
আগের তিন ইনিংসে তাঁর স্কোর ছিল ৬৫, ৭২ ও ৯৫। বিশ্বকাপে ভালো খেলছিলেন, কিন্তু সেঞ্চুরির দেখা পাচ্ছিলেন না কিছুতেই। অবশেষে ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে সেই আক্ষেপ ঘুচল স্টিভেন স্মিথের, স্পর্শ করলেন তিন অঙ্ক। স্মিথ আর অ্যারন ফিঞ্চের দৃঢ়তায় ৭ উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ৩২৮ রান।
বৃহস্পতিবার সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি অস্ট্রেলিয়ার। ম্যাচের চতুর্থ ও নিজের দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই বিশ্বকাপের সহ-আয়োজকদের ধাক্কা দেন উমেশ যাদব। একটি করে চার ও ছক্কা মেরে বড় কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার। কিন্তু মাত্র ১২ রান করে যাদবের বলে বিরাট কোহলিকে ক্যাচ দেন তিনি।
তবে ১৫ রানে উদ্বোধনী জুটি ভেঙে যাওয়ার ধাক্কা দলকে বুঝতেই দেননি স্মিথ আর ফিঞ্চ। শুরু থেকে আস্থার সঙ্গে খেলে চারবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে দেন দুজনে। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে স্মিথ-ফিঞ্চের অবদান ১৮২ রান।
শতকের পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি স্মিথ। যাদবকে তুলে মারতে গিয়ে রোহিত শর্মাকে ক্যাচ দেন তিনি। ৯৩ বলে খেলা ১০৫ রানের চমৎকার ইনিংসটা সাজানো ১১টি চার ও দুটি ছক্কায়।
স্মিথের বিদায়ের পরই ছন্দপতন হয় অস্ট্রেলিয়ার। মাত্র ১৬ রানের ব্যবধানে ফিরে যান গ্লেন ম্যাক্সওয়েল (২৩), ফিঞ্চ (৮১) এবং অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক (১০)। ফিঞ্চের ১১৬ বলের ইনিংসে ছিল ৭টি চার ও একটি ছক্কা।
৪৩তম ওভারে ক্লার্কের বিদায়ে স্কোর দাঁড়ায় ২৪৮/৫। এরপর জেমস ফকনার (২১), শেন ওয়াটসন (২৮) আর মিচেল জনসনের (৯ বলে অপরাজিত ২৭) তিনটি ছোট কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস সোয়া তিন শ রানের ওপরে নিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়াকে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
অস্ট্রেলিয়া : ৫০ ওভারে ৩২৮/৭ (ফিঞ্চ ৮১, ওয়ার্নার ১২, স্মিথ ১০৫, ম্যাক্সওয়েল ২৩, ওয়াটসন ২৮, ক্লার্ক ১০, ফকনার ২১, হ্যাডিন ৭*, জনসন ২৭*; যাদব ৪/৭২, মোহিত ২/৭৫, অশ্বিন ১/৪২)।