ফাইনালের আগে এলিয়টের ‘উভয় সংকট’
২০১৩ সালের নভেম্বরের পর নিউজিল্যান্ড দলে কিছুতেই সুযোগ পাচ্ছিলেন না গ্র্যান্ট এলিয়ট। বিশ্বকাপ দলে যে সুযোগ পাবেন, তা হয়তো ভাবতেই পারেননি। কিন্তু এখন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যানই কিউইদের স্বপ্নের নায়ক। সেমিফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৭৩ বলে অপরাজিত ৮৪ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলে প্রথমবারের মতো নিউজিল্যান্ডকে ফাইনালে নিয়ে গেছেন তিনি। কিন্তু এখন একটা আক্ষেপ থেকে যাচ্ছে তাঁর মনে। নিউজিল্যান্ড ফাইনালে উঠে যাওয়ায় বোনের বিয়েতে যোগ দিতে পারছেন না এলিয়ট।
এলিয়টের বোন কেটের বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক হয়েছিল এক বছর আগে। এলিয়ট যে বিশ্বকাপ দলে ডাক পাবেন সেটা তখন তিনি ভাবতেই পারেননি। সে সময়ের কথা এখনো মনে আছে কেটের, ‘তখন সে দলে ছিল না। আমাকে বলেছিল, আবার দলে ডাক পাওয়ার তেমন সম্ভাবনা নেই। আমি তাই নির্দ্বিধায় বিয়ের দিন ঠিক করেছিলাম। সে আমাকে শুভকামনাও জানিয়ে রেখেছিল।’
কিন্তু সব হিসাব ওলটপালট করে এলিয়ট এখন রোববারের ফাইনাল খেলতে যাচ্ছেন। শনিবার বিয়েতে উপস্থিত থাকতে না পারলেও উপহার নিশ্চয়ই পাঠাবেন। সেই সঙ্গে নিউজিল্যান্ড বিশ্বকাপ জিতলে বোনের মধুচন্দ্রিমার সব খরচ দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন তিনি।
তবে নিজের মধুচন্দ্রিমার জন্য নয়, নিউজিল্যান্ডের প্রথম বিশ্বকাপ জয়ের জন্য প্রার্থনা করছেন কেট। তিনি বলেছেন, ‘আমরা গ্র্যান্টের দিকে তাকিয়ে আছি। আমি তাকে বলেছি যাও, জিতে আস। আমার মধুচন্দ্রিমা কোনো ব্যাপার নয়।’
ভাইয়ের সাফল্যে ভীষণ আনন্দিত কেট। তবে বিয়েতে ভাই না থাকার আফসোস তো আছেই। এ ব্যাপারে তাঁর অনুভূতিটা মিশ্র, ‘আমরা পারিবারিকভাবে খুবই ঘনিষ্ঠ। বিয়ের দিনে সে আমাদের দেখতে পাবে না। কিন্তু আমি যখন বড় পর্দায় তার হাস্যোজ্জ্বল ছবিটা দেখি তখন ভালো লাগে।’