চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে আবার মাদ্রিদ-ডার্বি
দুই বছর আগে আতলেতিকো মাদ্রিদকে হারিয়ে দশমবারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা জিতেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। ইউরোপের সেরা ক্লাব টুর্নামেন্টের ফাইনালে আরেকটি মাদ্রিদ-ডার্বির মঞ্চ প্রস্তুত।
আগের দিন ফাইনাল নিশ্চিত করেছিল আতলেতিকো। বুধবার রাতে নগর-প্রতিদ্বন্দ্বীর পথ অনুসরণ করল রিয়ালও। সেমিফাইনালের ফিরতি লেগে ম্যানচেস্টার সিটিকে ১-০ গোলে হারানো রিয়ালের সামনে নিজেদের রেকর্ড উন্নত করার সুবর্ণ সুযোগ। ফাইনাল হবে আগামী ২৮ মে, ইতালির মিলানে।
গত সপ্তাহে ম্যানসিটির মাঠে প্রথম লেগ শেষ হয়েছিল গোলশূন্যভাবে। রিয়ালের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ফিরতি লেগের শুরু থেকে দুই দলই ছিল ভীষণ সতর্ক। আক্রমণে ওঠার চেয়ে রক্ষণদুর্গ সামলাতেই বেশি ব্যস্ত ছিল ইংল্যান্ড ও স্পেনের দুই পরাশক্তি। ১৪ মিনিটে প্রথম সুযোগ আসে রিয়ালের সামনে। তবে ডান দিক থেকে নেওয়া দানিয়েল কারভাহালের দারুণ ক্রস থেকে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর জোরালো হেড চলে যায় ক্রসবারের অনেক ওপর দিয়ে।
ছয় মিনিট পরই অবশ্য সেই হতাশা দূর হয়ে গেছে রিয়ালভক্তদের। কারভাহালেরই চমৎকার থ্রু ধরে দুর্দান্ত চিপ করেছিলেন গ্যারেথ বেল। বল বেলের গায়ের সঙ্গে লেগে থাকা ফার্নান্দোর পায়ে লেগে দিক পরিবর্তন করে চলে গেছে জালে।
৩৬ মিনিটে আবার ম্যানসিটির জালে বল পাঠিয়েছিল রিয়াল। টনি ক্রুজের ফ্রিকিক থেকে পেপের পা ঘুরে বল এসেছিল সার্জিও রামোসের কাছে। রিয়াল অধিনায়কের শট জালে প্রবেশ করলেও অফসাইডের কারণে গোলটি বৈধতা পায়নি।
৪৪ মিনিটে সমতা প্রায় নিয়েই এসেছিল ম্যানসিটি। কিন্তু ফার্নান্দিনিয়োর শট সাইডবার ঘেঁষে বেরিয়ে গেলে এক গোলের অগ্রগামিতা নিয়ে বিরতিতে যায় রিয়াল মাদ্রিদ।
এগিয়ে থাকলেও দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে রিয়ালের আক্রমণেরই বেশি ঝাঁজ ছিল। কিন্তু ৫০ ও ৫৪ মিনিটে রোনালদো ও লুকা মদ্রিচ দুটো সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করে হতাশ করেছেন সমর্থকদের।
৬৪ মিনিটে আবার রিয়ালের জন্য হতাশা। টনি ক্রুজের কর্নার থেকে বেলের হেড ক্রসবারে লেগে আবার বাঁচিয়ে দিয়েছে ম্যানসিটিকে।
এর পর আর তেমন আক্রমণ করেনি রিয়াল। আক্রমণের চেয়ে রক্ষণ সামলাতেই বেশি মনোযোগ দিয়েছে তারা। ম্যানসিটিও প্রতিপক্ষের আঁটসাঁট রক্ষণদুর্গে ফাটল ধরাতে পারেনি। তাই এক গোলের জয় নিয়ে ফাইনালে চলে গেছে প্রতিযোগিতার রেকর্ড ১০ বারের চ্যাম্পিয়নরা। তৈরি হয়েছে আরেকটি মাদ্রিদ-ডার্বির প্রেক্ষাপট।