কোপা আমেরিকার আগে আদালতে মেসি
বেশ ভালোই চাপের মুখে পড়েছেন লিওনেল মেসি। আর কয়েক দিন পরই শুরু হচ্ছে তাঁর কোপা আমেরিকা মিশন। তার ঠিক আগ দিয়েই একদফা পড়েছেন ইনজুরির কবলে। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই শুরু হয়েছে আদালতের যন্ত্রণা। আজ বৃহস্পতিবার কর ফাঁকির মামলায় প্রথমবারের মতো আদালতে হাজিরা দিয়েছেন এই আর্জেন্টাইন তারকা।
স্পেনে বেশ কয়েক বছর ধরেই এই কর ফাঁকির মামলায় ফেঁসে আছেন মেসি। ২০১৩ সালের আগস্টে ৬.৫ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দিয়েও নিস্তার মেলেনি। শেষপর্যন্ত জেলের ঘানিও টানতে হয় কি না, সেই আশঙ্কাও আছে এ সময়ের সেরা ফুটবলারের। বার্সেলোনার আদালতে চলমান মামলায় দোষী প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ ২২ মাসের কারাদণ্ড হতে পারে মেসির। সেই সঙ্গে দিতে হবে বিপুল অঙ্কের জরিমানা। তবে এর আগে মেসিকে কখনো পা রাখতে হয়নি আদালতে। বৃহস্পতিবার প্রথমবারের মতো তাঁকে দাঁড়াতে হয়েছিল আদালতের কাঠগড়ায়।
আদালতে আসার পর মেসি পেয়েছেন মিশ্র প্রতিক্রিয়া। আদালতের বাইরে অনেকেই মেসির পক্ষে স্লোগান দিয়েছেন। আবার অনেকে করেছেন কড়া সমালোচনা। এমনই একজন দুয়োধ্বনি দিয়ে বলেছেন, ‘চোর! পানামাতে গিয়ে খেল।’ উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে কর ফাঁকির তথ্য ফাঁস করা পানামা পেপার্সে নাম ছিল এই আর্জেন্টাইন তারকার। আরেকজন বলেছেন, ‘তিনি কত বড় খেলোয়াড় আর কয়টা ব্যালন ডি অর জিতেছেন, সেটা কোনো ব্যাপার না। দোষ করে থাকলে শাস্তি পাওয়াই উচিত।’
২০০৭ থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে প্রায় ৪.৬ মিলিয়ন ডলার কর ফাঁকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে মেসি ও তাঁর বাবার বিরুদ্ধে। মেসি অবশ্য বরাবরই এসব অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছেন। আর মেসির বাবা সব দোষ নিয়েছেন নিজের কাঁধে। মেসির আইনজীবীরা বরাবরই বলে এসেছেন যে, এ জাতীয় অর্থনৈতিক লেনদেনের ব্যাপারে মেসি কিছুই জানেন না। মেসির অর্থনৈতিক বিষয়গুলো তাঁর বাবাই দেখাশোনা করেন।
শুক্রবার এই মামলার ঝামেলা শেষ করেই যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কথা মেসির। আগামী সোমবার কোপা আমেরিকার প্রথম ম্যাচে চিলির মুখোমুখি হবে মেসির আর্জেন্টিনা। ২০১৫ সালের কোপা আমেরিকার ফাইনালে এই চিলির বিপক্ষে হেরেই হতাশ হতে হয়েছিল আর্জেন্টিনাকে। গ্রুপ পর্বে তাদের অপর দুই প্রতিপক্ষ পানামা ও বলিভিয়া।