কোপা আমেরিকায় গোল নিয়ে গণ্ডগোল!
শতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত বিশেষ কোপা আমেরিকার শুরুটা একদমই ভালো হয়নি ব্রাজিলের। ইকুয়েডরের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করা পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা অবশ্য হেরেও যেতে পারত। ব্রাজিলের জালে বল পাঠিয়েও রেফারির বিতর্কিত সিদ্ধান্তে গোল পায়নি ইকুয়েডর। আর এই গোল নিয়েই শুরু হয়েছে গণ্ডগোল।
ম্যাচের ৬৬ মিনিটের সময় ইকুয়েডরের মিলার বোলানোসের একটি ক্রস ব্রাজিল গোলরক্ষক অ্যালিসনের হাত ফসকে চলে গিয়েছিল জালে। ইকুয়েডরের খেলোয়াড়-কর্মকর্তা-সমর্থকরা উল্লাস করতে করতেই দেখতে পেয়েছেন গোল নয়, গোলকিকের নির্দেশ দিয়েছেন রেফারি। ক্রস করার আগে বল মাঠের বাইরে চলে গিয়েছিল বলেই তাঁর এমন সিদ্ধান্ত। চিলিয়ান রেফারি হুলিও গনজালেজের অবশ্য দোষ নেই। লাইন্সম্যানের নির্দেশনা অনুযায়ী সিদ্ধান্তটা নিয়েছেন তিনি। যদিও টেলিভিশন রিপ্লে দেখে ক্রস করার সময় বল মাঠের ভেতরেই ছিল বলে মনে হচ্ছে অনেকের।
গোলটা হলে হয়তো ইকুয়েডর জিতে যেত। অনেকখানি এগিয়ে যেত কোয়ার্টার ফাইনালের পথেও। তিন পয়েন্ট হাতছাড়া হয়ে যাওয়ায় ইকুয়েডরের কোচ গুস্তাভো কিনতেরোস ভীষণ ক্ষুব্ধ। খেলা শেষে তাঁর প্রতিক্রিয়াতেই ক্ষোভটা পরিষ্কার, ‘আমি অনেকবার রিপ্লে দেখেছি। দুর্ভাগ্যজনকভাবে রেফারিরা আবার তুলনামূলক শক্তিশালী দলের পক্ষেই ভুল করলেন। খেলা যদি অন্য প্রান্তে হতো, তাহলে মনে হয় না রেফারি গোলটা বাতিল করতেন। এই সিদ্ধান্তে আমরা ক্রুদ্ধ। আমাদের সব প্রচেষ্টা, সব কাজ পণ্ড হয়ে গেল।’
কিনতেরোসের সবচেয়ে বেশি ক্ষোভ লাইন্সম্যানকে নিয়ে। রেফারির সহকারীর তীব্র সমালোচনা করে তিনি বলেছেন, ‘অনেক দূর থেকে দেখে লাইন্সম্যান আমাদের গোল বাতিল করে দিয়েছেন। আমি অন্তত ২৫ বার ভিডিওটা দেখে বুঝতে পারছি বল কিছুতেই মাঠের বাইরে চলে যায়নি। অথচ ৫০-৬০ মিটার দূর থেকে দেখেই তিনি (লাইন্সম্যান) পুরো নিশ্চিত হয়ে গেলেন। তিনি ঘটনাস্থলের কাছে থাকলে আমরা হয়তো এতটা ক্ষুব্ধ হতাম না।’
ব্রাজিলের কোচ দুঙ্গা অবশ্য এই বিতর্কের মধ্যে নিজেকে জড়াননি। কিছুটা কূটনৈতিক ঢঙে তাঁর মন্তব্য, ‘বল মাঠের ভেতরে ছিল না বাইরে, তা আমি দেখতে পাইনি। আমি অনেকটা দূরে ছিলাম। আমি যে জায়গায় ছিলাম সেখান থেকে ঘটনাটা বোঝা খুব কঠিন। পরে অবশ্য কয়েকজন খেলোয়াড় আমাকে বলেছে যে ক্রস করার আগে বল মাঠের বাইরে চলে গিয়েছিল।’