মেসিকে এমন অবস্থায় কখনো দেখেননি আগুয়েরো
শিরোপার খুব কাছাকাছি এসেও হতাশ হওয়ার অভিজ্ঞতা এবারই প্রথম হলো না লিওনেল মেসির। গত দুই বছরে দুটি বড় প্রতিযোগিতার ফাইনালে উঠেও খালি হাতে ফিরতে হয়েছে আর্জেন্টাইন এই তারকাকে—২০১৪ সালের বিশ্বকাপ ও ২০১৫ সালের কোপা আমেরিকায়। কিন্তু এ বছর কোপা আমেরিকার বিশেষ সংস্করণের ফাইনালে হারটা কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না মেসি। নাটকীয়ভাবে বিদায়ই বলে দিয়েছেন আন্তর্জাতিক ফুটবলকে। মেসিকে এমন বিধ্বস্ত অবস্থায় আর কখনোই দেখা যায়নি বলে জানিয়েছেন তাঁর আর্জেন্টাইন সতীর্থ সার্জিও আগুয়েরো।
২০১৫ সালের মতো এবারও কোপা আমেরিকার ফাইনালে চিলির বিপক্ষে টাইব্রেকারে হেরেছে আর্জেন্টিনা। দলের পক্ষে প্রথম পেনাল্টি শট নিতে এসে ব্যর্থ হয়েছিলেন অধিনায়ক মেসি। বল পাঠিয়েছিলেন গোলপোস্টের ওপর দিয়ে। নিজে পেনাল্টি মিস করায় হয়তো হতাশাটা আরো তীব্র হয়েছে মেসির। হার নিশ্চিত হয়ে যাওয়ার পর মাঠেই কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা গেছে পাঁচবারের ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলারকে। কান্নাভেজা চোখে তাঁকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন আগুয়েরো। আর্জেন্টিনার সাজঘরে এমন বিধ্বস্ত অবস্থা আগে কখনোই দেখেননি বলে মন্তব্য করেছেন তিনি, ‘সেই পেনাল্টি মিস করার কারণে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা ছিল লিওর (মেসি)। সাজঘরে এত খারাপ অবস্থায় তাঁকে আমি কখনো দেখিনি।’
টানা তিনটি ফাইনালে হারের হতাশা নিয়ে নাটকীয়ভাবে আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকেই অবসরের ঘোষণা দিয়ে দিয়েছেন মেসি। তাঁর দেখাদেখি আরো অনেকেই আর্জেন্টিনার আকাশি-সাদা জার্সি আর না পরার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন বলেও জানিয়েছেন আগুয়েরো। তিনি বলেছেন, ‘জাতীয় দলে আর না খেলার কথা চিন্তা করছেন বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়। সাজঘরে এমন অভিজ্ঞতা আমার কখনো হয়নি। ব্রাজিল বিশ্বকাপের ফাইনাল ও আরেকটি (২০১৫ সালে) কোপা আমেরিকার ফাইনালে হারের পর যে অবস্থা ছিল, তার চেয়েও অনেক খারাপ অবস্থা হয়েছে এবার।’
আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক সার্জিও রোমেরো অবশ্য ভিন্ন চিন্তাই করছেন মেসিকে নিয়ে। তীব্র হতাশার কারণে হুট করে অবসরের ঘোষণা দিয়ে ফেললেও মেসি এ সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করবেন বলেই আশা রোমেরোর, ‘আমার মনে হয়, তিনি সেই সময়ের উত্তেজনায় কথাটা বলেছেন। কারণ, দারুণ একটা সুযোগ আমাদের হাত ফসকে বেরিয়ে গেছে। মেসিকে ছাড়া জাতীয় দল আমি কল্পনাও করতে পারি না। আমার মনে হয়, তিনি এটা নিয়ে আবার চিন্তা করবেন।’