আবার রোনালদোর কাছে ফাইনালে পরাস্ত গ্রিজম্যান
ইউরো ফাইনালের আগে আলোচনায় ছিলেন দুজনই। সেটা শুধু জার্সি নম্বরের মিলের কারণে নয়। দুজনে একই শহরের দুই বিখ্যাত ক্লাবের সদস্য হওয়ার জন্যও। পর্তুগালের ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো আর ফ্রান্সের আন্তইন গ্রিজম্যানের নাম আরেকটি কারণেও উচ্চারিত হচ্ছিল একসঙ্গে। মাস দেড়েক আগে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালেও মুখোমুখি হয়েছিলেন তাঁরা। যে ম্যাচে গ্রিজম্যানের আতলেতিকো মাদ্রিদকে টাইব্রেকারে হারিয়ে শিরোপা উল্লাসে মেতে উঠেছিল রোনালদোর রিয়াল মাদ্রিদ। রোববারের ফাইনালে জাতীয় দলকে প্রতিনিধিত্ব করলেও দুজনের ভাগ্যের হেরফের হয়নি। আবার রোনালদোর কাছে হারের বেদনায় নীল গ্রিজম্যান।
চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে গ্রিজম্যান দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে পেনাল্টি মিস করেছিলেন। খেলা ১-১ গোলে অমীমাংসিত থাকার পর টাইব্রেকারে আতলেতিকোর পক্ষে প্রথম শট অবশ্য জালে পাঠিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু দলকে জেতাতে পারেননি। শেষ শট লক্ষ্যভেদ করে রিয়ালকে একাদশ শিরোপার আনন্দে ভাসিয়ে দিয়েছিলেন রোনালদো।
রোববার রাতে প্যারিসের ফাইনালে পর্তুগাল অধিনায়ক ২৫ মিনিটের সময় মাঠের বাইরে চলে গেছেন চোটে পড়ে। গ্রিজম্যান অবশ্য পুরো ১২০ মিনিট খেলেছেন। কিন্তু শেষ হাসি রোনালদোর। দেড় মাস আগের মতো আবারও রোনালদোর কাছে ফাইনালে হারের বেদনায় আক্রান্ত গ্রিজম্যানের হতাশাভরা মন্তব্য, ‘মাত্র এক মাসের কিছু বেশি সময়ের ব্যবধানে দ্বিতীয় ফাইনালে হেরে গেলাম। এটা ভীষণ দুঃখজনক।’
দল ব্যর্থ হলেও গ্রিজম্যান কিন্তু সফল। ছয় গোল করে তিনিই টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতা। ১৯৮৪ সালে মিশেল প্লাতিনির ৯ গোলের পর ইউরোর এক আসরে এটাই সবচেয়ে বেশি গোলের কীর্তি। ৩২ বছর আগে ঘরের মাঠে ফ্রান্সকে শিরোপা উপহার দিয়েছিলেন প্লাতিনি। কিন্তু গ্রিজম্যান দেশের মাটিতে দেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারেননি। এই দুঃখ কিছুতেই ভুলতে পারছেন না ফ্রান্সের তারকা ফরোয়ার্ড, ‘আমরা কাছাকাছি গিয়েছিলাম। অনেক কাছাকাছি। এটা ভীষণ হতাশাজনক। আমাদের দল আর আমরা যা অর্জন করেছি তা নিয়ে আমি গর্বিত। তবে এটা আমাদের রাত ছিল না।’