পর্তুগালে রোনালদোদের সাদর অভ্যর্থনা
রোববার রাতে পর্তুগালের খুব কম মানুষই বোধহয় ঘুমাতে পেরেছে। এমন এক স্মরণীয় রাতে কি ঘুমানো যায়! অতীতের সব হতাশা-দুঃখ-যন্ত্রণাকে পেছনে ফেলে অবশেষে পর্তুগাল জিতে নিয়েছে ফুটবলের অন্যতম সেরা প্রতিযোগিতা ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ। ফাইনালে স্বাগতিক ফ্রান্সকে হারিয়ে শিরোপাজয়ের উন্মাদনা প্রশমিত হওয়ার পর ফুটবল-বীরদের বরণ করে নিতে অধীর অপেক্ষায় ছিল পর্তুগিজরা। অপেক্ষা শেষে ইউরোপ জয় করে ফেরা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোদের ভালোবেসে বুকে টেনে নিয়েছে পর্তুগালের মানুষ।
সোমবার সকাল থেকেই লিসবন বিমানবন্দরে ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ। স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে ১২টার দিকে রোনালদোদের বহন করা বিশেষ বিমান রানওয়ে স্পর্শ করতেই উল্লাসে ফেটে পড়েছে প্রায় হাজার দশেক মানুষ। দুটো অগ্নিনির্বাপক ট্রাক থেকে বিমানের ওপরে জাতীয় পতাকার লাল-সবুজ রঙের তরল ছিটিয়ে সম্মান জানানো হয়েছে শুরুতে।
বিমানের দরজা খুলে স্বপ্নের ট্রফি নিয়ে সবার আগে বেরিয়ে এসেছেন অধিনায়ক রোনালদো ও কোচ ফার্নান্দো সান্তোস। তারপর ফাইনালের সেরা খেলোয়াড় পেপেকে সঙ্গে নিয়ে বিমান থেকে নেমেছেন বাকি খেলোয়াড় ও দলের অন্য সদস্যরা। বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে ছাদখোলা দোতলা বাসে চেপে বিজয় মিছিল করে প্রেসিডেন্ট মার্সেলো রেবেলো ডিসুজার সঙ্গে দেখা করতে গেছেন ইউরোপ চ্যাম্পিয়নরা।
চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর দলকে অভিনন্দন জানিয়ে প্রেসিডেন্ট ডিসুজা বলেছিলেন, ‘ইউরোপে আমরাই এখন সেরা। আমরা সবাইকে দেখিয়ে দিয়েছি যে আমরা কী ধাতুতে গড়া। আমরা বলিষ্ঠ, ঐক্যবদ্ধ, সব ধরনের প্রতিকূলতা মোকাবিলায় সক্ষম। এমনকি ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে ফাইনালে হারিয়েও আমরা ভেঙে পড়িনি।’ দেশের মুখ উজ্জ্বল করা সোনার সন্তানদের কাছে পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছেন তিনিও।
প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করে সেই বাসেই পুরো লিসবন শহর ঘুরেছেন রোনালদোরা। পথের দুই পাশে তখন হাজারো মানুষের ভিড়। চারদিকে উড়ছে পর্তুগালের লাল-সবুজ পতাকা। এমন রঙিন পরিবেশেই ফুটবল-বীরদের উষ্ণ ভালোবাসায় বরণ করে নিয়েছে পর্তুগিজরা।