এসি মিলানের কাছে বায়ার্নের হার
ইউরোপিয়ান ফুটবলে একসময় সেরাদের তালিকার প্রথম দিকেই থাকত ইতালিয়ান ক্লাব এসি মিলানের নাম। রিয়াল মাদ্রিদের পর তারাই সবচেয়ে বেশিবার জিতেছে চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা। এখন অবশ্য আর দেখা যায় না মিলানের দাপট। ২০০৭ সালের পর আর একবারও তারা যেতে পারেনি চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত। তবে এবারের মৌসুমের শুরুতে প্রীতি ম্যাচেই চমক দেখিয়েছে মিলান। হারিয়ে দিয়েছে জার্মানির সেরা ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখকে।
বায়ার্নের বিপক্ষে নির্ধারিত ৯০ মিনিটের মধ্যেই জয়ের দেখা পেয়ে যেতে পারত এসি মিলান। ৮৯ মিনিট পর্যন্ত তারা এগিয়ে ছিল ৩-২ গোলে। কিন্তু শেষ মুহূর্তে পেনাল্টি থেকে গোল করে খেলায় সমতা ফেরান বায়ার্নের তারকা ফরোয়ার্ড ফ্রাঙ্ক রিবেরি। ফলে খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানেও অবশ্য শেষ পর্যন্ত হতাশই হতে হয়েছে বায়ার্নকে। ৫-৩ ব্যবধানের জয় পেয়েছে এসি মিলান।
নতুন মৌসুম শুরুর আগে ইউরোপিয়ান ফুটবলের সেরা ক্লাবগুলো এখন খেলছে প্রাক-মৌসুম প্রীতি টুর্নামেন্ট ইন্টারন্যাশনাল চ্যাম্পিয়নস কাপ। সেখানে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল বায়ার্ন মিউনিখ ও এসি মিলান। জার্মানি ও ইতালির অন্যতম সেরা এ দুই ক্লাব উপহার দিয়েছে উত্তেজনাপূর্ণ এক ম্যাচ। আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে শুরু থেকেই উত্তেজনা ছড়িয়েছেন দুই দলের ফুটবলাররা।
২৩ মিনিটের মাথায় এসি মিলান করেছিল ম্যাচের প্রথম গোল। বায়ার্নের জালে বল জড়িয়েছিলেন মিলানের ফরাসি ফরোয়ার্ড মবায়ে নিয়াং। শুরুতে গোল হজম করলেও বায়ার্ন ঘুরে দাঁড়ায় দারুণভাবে। ২৯ মিনিটের মাথায় খেলায় সমতা ফেরায় রিবেরির গোলের সুবাদে। আর ৩৮ মিনিটে দলকে ২-১ গোলে এগিয়ে দেন ডেভিড সিলভা।
দ্বিতীয়ার্ধে আবার শুরু হয় এসি মিলানের দাপট। ৪৯ মিনিটেই খেলার স্কোর হয়ে যায় ২-২। আর ৬১ মিনিটে মিলান ৩-২ গোলে এগিয়ে যায় স্লোভাকিয়ার মিডফিল্ডার জুরাজ কুচকার গোলের সুবাদে। খেলার শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত এই ৩-২ গোলেই এগিয়ে ছিল মিলান। কিন্তু ৯০ মিনিটের মাথায় পেনাল্টি থেকে গোল করে ৩-৩ ব্যবধানে সমতা ফেরান বায়ার্নের তারকা রিবেরি।
শেষ পর্যন্ত অবশ্য হারের হতাশা নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছে বায়ার্নকে। টাইব্রেকারে হেরে গেছে ৫-৩ ব্যবধানে।