বিদায় বললেন শোয়েনস্টেইগার
বয়স হয়েছিল ৩১ বছর। চাইলে আরো বেশ কয়েক বছর আন্তর্জাতিক ফুটবল খেলে যেতে পারতেন বাস্তেইন শোয়েনস্টেইগার। কিন্তু হঠাৎ করেই বিদায় বলে দিলেন আন্তর্জাতিক ফুটবলকে। ইউরো কাপ জিততে না পারার হতাশা থেকেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানালেন জার্মানির অন্যতম সেরা এই মিডফিল্ডার।
২০১৪ সালে জার্মানির বিশ্বকাপজয়ী দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন শোয়েনস্টেইগার। এ বছর জাতীয় দলের হয়ে ইউরো কাপের শিরোপাটাও জিততে চেয়েছিলেন খুব করে। কিন্তু সেমিফাইনালে স্বাগতিক ফ্রান্সের কাছে ২-০ গোলে হেরে বিদায় নিতে হয়েছে জার্মানিকে। অধিনায়ক হিসেবে এই হার কোনোভাবেই মেনে নিতে পারেননি শোয়েইনি। তাই শেষ পর্যন্ত বিদায়ই বলে দিয়েছেন আন্তর্জাতিক ফুটবলকে। নিজের এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে তিনি টুইটারে লিখেছেন, ‘জোয়াকিম লো খুব ভালোমতোই জানতেন যে, ইউরো কাপের শিরোপাটা আমার কাছে কতটা মূল্যবান ছিল। আমি এটা জিততে চেয়েছিলাম, কারণ ১৯৯৬ সালের পর জার্মানি এই শিরোপা জিততে পারেনি। কিন্তু তেমনটা হয়নি। আর আমাকে এটা মেনে নিতে হবে।’
২০০৪ সালে মাত্র ২০ বছর বয়সে জার্মানির জার্সি গায়ে অভিষেক হয়েছিল শোয়েনস্টেইগারের। এর পর থেকে ১২০টি ম্যাচ খেলে তিনি করেছেন ২৪টি গোল। জার্মানির হয়ে তাঁর চেয়ে বেশি ম্যাচ খেলেছেন মাত্র তিনজন ফুটবলার—লুকাস পোডলস্কি, মিরোস্লাভ ক্লোসা ও লোথার ম্যাথিউস। ২০০৪ সালে ফিলিপ লামের অবসরের পর জার্মানির অধিনায়কের দায়িত্বও পেয়েছিলেন শোয়েনস্টেইগার।