রিয়ালের আনন্দ-বিষাদের রাত
দুজনই রদ্রিগেজ, দুজনই ফরোয়ার্ড। একজন বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার জিতে বিশ্বখ্যাত হয়ে যাওয়া কলম্বিয়ার হামেস রদ্রিগেজ। স্পেনের জেসে রদ্রিগেজ অবশ্য এখনও তেমন খ্যাতি পাননি। বুধবার রাতে দুই রদ্রিগেজের লক্ষ্যভেদে সেভিয়াকে ২-১ গোলে হারিয়ে স্প্যানিশ লা লিগার শীর্ষস্থান আরো সুসংহত করেছে রিয়াল মাদ্রিদ। যদিও রিয়ালের জয়ের আনন্দ অনেকখানি ম্লান করে দিয়েছে ইনজুরির ছোবল।
আগামী শনিবার আতলেতিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে লা লিগার মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে রিয়ালকে মাঠে নামতে হবে হামেস রদ্রিগেজ ও সার্জিও রামোসকে ছাড়া। সেভিয়ার বিপক্ষে দুজনই পড়েছেন ইনজুরির কবলে। বুধবার হলুদ কার্ড দেখে মার্সেলোও পড়েছেন নিষেধাজ্ঞার খাঁড়ায়। তবে রিয়াল সমর্থকদের জন্য সুখবর, দুই ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে আতলেতিকোর বিপক্ষে খেলতে পারবেন দলের সেরা খেলোয়াড় ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো।
ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে দ্বাদশ মিনিটে এগিয়ে যায় রিয়াল। মার্সেলোর ক্রসে দুর্দান্ত এক ডাইভিং হেডে সেভিয়ার জালে বল জড়িয়ে দেন হামেস রদ্রিগেজ। তবে ১৫ মিনিট পরেই পায়ে ব্যথা পেয়ে মাঠ ছাড়তে হয় ২০১৪ বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ গোলদাতাকে। তাঁর জায়গায় মাঠে নামা জেসে রদ্রিগেজ রিয়ালের দ্বিতীয় গোলদাতা। ৩৬ মিনিটে করিম বেনজেমার পাস থেকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন তিনি।
দুই গোলে এগিয়ে থাকলেও প্রথমার্ধে রিয়ালের রক্ষণভাগকে কয়েকবার কঠিন পরীক্ষায় ফেলেছে সেভিয়া। বিশেষ করে ভিনসেন্ট ইবোরা কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন লা লিগার রেকর্ড ৩২ বারের চ্যাম্পিয়নদের। স্বাগতিকদের সৌভাগ্য, ইবোরার জোরালো শট ফিরে এসেছে পোস্টে লেগে।
তবে ৮০ মিনিটে হতাশ হতে হয়নি সেভিয়াকে। বদলি হিসেবে নামা লাগো আসপাসের গোলে ব্যবধান কমে হয় ২-১। কিন্তু গোলটা অতিথিদের সান্ত্বনা ছাড়া আর কিছু দিতে পারেনি।
এই জয়ে লা লিগার শীর্ষে আরও মজবুত অবস্থানে গত মৌসুমের চ্যাম্পিয়নস লিগ বিজয়ীরা। ২১ ম্যাচ থেকে তাদের সংগ্রহ ৫৪ পয়েন্ট। সমান ম্যাচে ৫০ ও ৪৭ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে আছে বার্সেলোনা ও আতলেতিকো মাদ্রিদ।
ইনজুরির কারণে বেশ কিছুদিন মাঠের বাইরে থাকতে হবে হামেস রদ্রিগেজ ও সার্জিও রামোসকে। হামেস দুই মাস আর রামোসের অনুপস্থিতির ‘মেয়াদ’ হতে পারে তিন সপ্তাহ। গত ১৫ জানুযারি কোপা দেল রে’তে আতলেতিকোর বিপক্ষে ইনজুরিতে পড়া পর্তুগিজ ডিফেন্ডার পেপে এখনও মাঠে ফিরতে পারেননি।
তবে এসব নিয়ে তেমন ভাবছেন না রিয়ালের কোচ কার্লো আনচেলত্তি, ‘আতলেতিকোর মুখোমুখি হওয়ার আগে আমার মনে হয় না তারা সেরে উঠতে পারবে। আমরা হয়তো রক্ষণে অভিজ্ঞতায় পিছিয়ে থাকব। রামোস, পেপে আর মার্সেলোর নাম বিশ্বসেরা ডিফেন্ডারদের তালিকায় থাকবেই। কিন্তু তাঁদের অনুপস্থিতি আমাকে দুশ্চিন্তায় ফেলছে না।’