সৌম্য সরকারের শতকের উচ্ছ্বাস
পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের আগে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে মাত্র একটি ম্যাচে নামার সুযোগ পেয়েছিলেন। বিশ্বকাপে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে সেই ম্যাচে মাত্র দুই রান করে আউট হয়ে যান সৌম্য সরকার। তবু কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে তাঁর প্রতি আস্থা হারাননি, ঘরের মাঠে আবার উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে সুযোগ দিয়েছেন তাঁকে। প্রথম দুই ম্যাচে ২০ ও ১৭ রান করলেও তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে দারুণভাবে জ্বলে উঠলেন সৌম্য, ভেসে গেলেন জীবনের প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরির আনন্দে। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে তাঁর অসাধারণ সেঞ্চুরির সুবাদে পাকিস্তানকে টানা তৃতীয় ম্যাচে হারিয়ে ‘হোয়াইটওয়াশ’ উৎসবে মাতোয়ারা বাংলাদেশ। এমন এক শতক পেয়ে সৌম্য উচ্ছ্বসিত। সাতক্ষীরার ছেলেটির কাছে সেঞ্চুরিটা ‘স্পেশাল’।
খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে সৌম্য বলেন, ‘সেঞ্চুরি যে পাব, তা ভাবতেও পারিনি। তবে ভালো কিছু করার সংকল্প ছিল। কারণ, প্রথম দুই ম্যাচে রান পাইনি।’ চল্লিশের ঘরে থাকার সময় তামিম ইকবালের একটা পরামর্শ দারুণ সাহায্য করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, “তামিম ভাই বলেছিলেন, ‘ইনিংসটাকে শেষ পর্যন্ত নিয়ে যাও। দেখবে এর মজাই আলাদা।’ তখনই আমার ভাবনায় পরিবর্তন আসে। ইনিংসটাকে লম্বা করার চিন্তাভাবনা শুরু করি। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকতে পেরেছি বলে খুব ভালো লাগছে।”
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে জীবনের প্রথম সেঞ্চুরি বিশেষভাবে মনে রাখবেন সৌম্য, ‘আমি এমন দিনে সেঞ্চুরি করলাম, যেদিন বাংলাদেশ পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করল। এমন সাফল্যের সাক্ষী হতে পেরে খুব ভালো লাগছে। এই সেঞ্চুরি আমার জীবনে স্পেশাল হয়ে থাকবে।’
বিশ্বকাপে তিন নম্বরে ব্যাট করলেও এই সিরিজে খেললেন উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে। কোন জায়গা তাঁর কাছে প্রিয়—এমন প্রশ্নে সৌম্যর জবাব, ‘দেশের জন্য আমি যেকোনো জায়গায় খেলতে প্রস্তুত। এখানে আলাদা করে কোনো প্রিয় জায়গা নেই।’