সেমিফাইনালে নেইমারই ব্রাজিলের ভরসা
প্রথম দুই ম্যাচে গোলশূন্য ড্র করে খাদের কিনারে চলে যাওয়া ব্রাজিল আজ ফাইনালের দোরগোড়ায়। আজ বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায় শুরু হতে যাওয়া সেমিফাইনালে হন্ডুরাসকে হারাতে পারলেই বহু দিনের স্বপ্ন অলিম্পিক শিরোপার এক ম্যাচ দূরত্বে চলে যাবে ‘সেলেসাও’রা। বলা বাহুল্য, রিও অলিম্পিকে ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে নেইমারই ব্রাজিলের সবচেয়ে বড় ভরসা।
দক্ষিণ আফ্রিকা আর ইরাকের সঙ্গে ড্র করে দুয়ো শুনতে হয়েছিল ব্রাজিলকে। ক্ষোভটা সবচেয়ে বেশি আছড়ে পড়েছিল নেইমারের দিকে। প্রথম দুই ম্যাচে বলতে গেলে খুঁজেই পাওয়া যায়নি বার্সেলোনা তারকাকে। সাধারণ ব্রাজিলিয়ান থেকে শুরু করে ব্রাজিলের গণমাধ্যমও সমালোচনার তীরে বিদ্ধ করেছিল নেইমারকে। প্রশ্ন উঠেছিল তাঁর নেতৃত্ব নিয়েও।
গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ডেনমার্কের বিপক্ষে বাঁচা-মরার লড়াইয়ে সব সমালোচনার জবাব দিয়েছিল ব্রাজিল। ডেনিশদের চার গোলে উড়িয়ে দেওয়া ম্যাচে দুই গোলের নির্মাতা ছিলেন তিনি। কলম্বিয়াকে ২-০ গোলে হারানো কোয়ার্টার ফাইনালে তো দুর্দান্ত পারফরম্যান্স। ম্যাচের শুরুতে অসাধারণ ফ্রিকিকে দলকে এগিয়ে দেওয়ার পর দ্বিতীয় গোলের নির্মাতা ছিলেন নেইমার। পুরো ম্যাচে বহুবার কলম্বিয়ানদের অহেতুক ফাউলের শিকার হলেও তেমন মাথা গরম করেননি ব্রাজিল অধিনায়ক।
এবার সামনে আর্জেন্টিনাকে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় করে দেওয়া হন্ডুরাস। কলম্বিয়ার চেয়ে হন্ডুরাস হয়তো ফুটবল ঐতিহ্য আর শক্তিতে অনেক পিছিয়ে। তবে মাঠের লড়াইয়ের কথা কিছুই বলা যায় না বলে ব্রাজিল ভীষণ সতর্ক।
গত সপ্তাহেও অনেক ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ সইতে হয়েছিল নেইমারকে। এখন অবশ্য তিনিই ব্রাজিলিয়ানদের আশা-ভরসার প্রতীক। তবে রজারিও মিকালে কখনোই দলের সবচেয়ে বড় তারকার ওপরে আস্থা হারাননি। বিখ্যাত মারাকানা স্টেডিয়ামে শেষ চারের লড়াইয়ে নামার আগে ব্রাজিল কোচের নেইমার-বন্দনা, ‘নেইমার বয়সে একদমই তরুণ। অথচ তার কাঁধে এখন বিশাল দায়িত্ব। সে প্রতিভাবান বলেই ভুল থেকে শিক্ষা নিতে পারে। অতীতে ভুল করলেও সে তা সংশোধন করেছে। আমরা সবাই ভুল করি। এমনকি নেইমারও।’