স্বর্ণ-সাফল্যে মেতে উঠতে পারবে ব্রাজিল?
বিশ্বকাপে ব্রাজিলের পাঁচ-পাঁচটি শিরোপা। অথচ অলিম্পিক ফুটবলে স্বর্ণ জিততে পারেনি কখনো। অধরা স্বপ্নপূরণে আরেকটি জয় চাই ব্রাজিলিয়ানদের। আজ রাত আড়াইটায় শিরোপাজয়ের শেষ লড়াইয়ে তাদের প্রতিপক্ষ জার্মানি। ফাইনালের ভেন্যু রিও ডি জেনিরোর ঐতিহাসিক মারাকানা স্টেডিয়াম।
দুই বছর আগে বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে জার্মানির কাছে ৭-১ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছিল ব্রাজিল। আজকের ফাইনালকে তাই অনেকেই ব্রাজিলের ‘প্রতিশোধের লড়াই’ হিসেবে দেখতে আগ্রহী। যদিও স্বয়ং ব্রাজিলের কোচ রজারিও মিকালে ‘প্রতিশোধ’ শব্দটি মনে স্থান দিতে রাজি নন। তাঁর মতে দুটো ম্যাচের প্রেক্ষাপট সম্পূর্ণ আলাদা।
আসলেই দুই ম্যাচের পটভূমিতে অনেক পার্থক্য। প্রথমত অলিম্পিক ফুটবলে প্রতি দলে মাত্র তিনজন ২৩ বছরের বেশি বয়সী খেলোয়াড় খেলতে পারে। তাই দুই দলের খেলোয়াড় তালিকা অনেকটা আলাদা।
কোয়ার্টার ফাইনালে মেরুদণ্ডের হাড় ভেঙে ফেলায় নেইমার বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলতে পারেননি। তাই আজ ব্রাজিলের সেই ‘অভিশপ্ত’ ম্যাচের কেউ মাঠে থাকবেন না। এবারের অলিম্পিকে জার্মানির শুধু একজনই ছিলেন গত বিশ্বকাপে। তবে মাথিয়াস গিন্টারের বিশ্বকাপে এক মিনিটের জন্যও মাঠে নামার সৌভাগ্য হয়নি।
আরেকটা পার্থক্য, দুটো ম্যাচ ব্রাজিলের মাটিতে হলেও ভেন্যু আলাদা। বিশ্বকাপে ব্রাজিল-জার্মানি লড়াই হয়েছিল বেলো হরিজন্টের মিনেরাও স্টেডিয়ামে। আর আজকের ম্যাচ হবে রিও ডি জেনিরোর মারাকানায়। দুই দলের কোচও আলাদা। বিশ্বকাপে ব্রাজিলের ফুটবল ইতিহাসের কলঙ্কজনক অধ্যায়ের সাক্ষী হয়ে বিদায় নিয়েছিলেন লুইস ফেলিপে স্কলারি। আর আজ ‘সেলেসাও’দের কোচ মিকালে। অন্যদিকে ২০১৪ বিশ্বকাপজয়ী জার্মানির কোচ ছিলেন জোয়াকিম লো। আর রিও অলিম্পিকে জার্মানরা খেলছে হর্স্ট রুবেশের অধীনে।
অলিম্পিক ফুটবলে তিনবার ফাইনালে উঠলেও কখনো স্বর্ণ-সাফল্যে মেতে উঠতে পারেনি ব্রাজিল। চার বছর আগে লন্ডন অলিম্পিকে মেক্সিকোর কাছে হেরে শিরোপা হাতছাড়া করার পর অঝোরে কেঁদেছিলেন নেইমার। আজ কি সুখের কান্নায় ভেসে যেতে পারবেন তিনি? গড়তে পারবেন ইতিহাস? অধিনায়কের দিকেই কিন্তু তাকিয়ে ব্রাজিলিয়ানরা।