খুলনা টেস্ট
তামিম-ইমরুলে স্বস্তির সুবাতাস

প্রথম ইনিংসে ২৯৬ রানে পিছিয়ে থাকার দুঃখ ভুলে খুলনা টেস্টে দৃঢ় অবস্থানে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশকে দুর্দান্ত সূচনা এনে দিয়েছেন তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েস। শতক করে দুজনই অপরাজিত আছেন। শুক্রবার চতুর্থ দিনের খেলা শেষে স্বাগতিকদের সংগ্রহ বিনা উইকেটে ২৭৩ রান। পাকিস্তানের চেয়ে ২৩ রানে পিছিয়ে থাকলেও পঞ্চম ও শেষ দিন ১০ উইকেট হাতে রাখার স্বস্তি নিয়ে শুরু করতে পারবে বাংলাদেশ।urgentPhoto
১৮৩ বলে ১৩টি চার ও ৪টি ছক্কায় ১৩৮ রান করে অপরাজিত আছেন তামিম। ১৮৫ বল খেলে ১৩২ রানে অপরাজিত ইমরুল। তাঁর ইনিংসে চার ১৫টি ও ছক্কা ৩টি। টেস্ট ক্রিকেটে যে কোনো উইকেটে এটাই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ জুটি। আগের সেরা জুটি ছিল মোহাম্মদ আশরাফুল ও মুশফিকুর রহিমের অধিকারে। ২০১৩ সালের মার্চে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গল টেস্টে ২৬৭ রানের জুটি গড়ে রেকর্ডটা করেছিলেন তাঁরা। টেস্টে তামিমের এটা টানা তৃতীয় এবং সব মিলিয়ে সপ্তম শতক। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে টানা তিন টেস্টে শতক করার কৃতিত্ব এখন তাঁর অধিকারে। ইমরুল পেয়েছেন টানা দ্বিতীয় শতক। পাকিস্তানের বিপক্ষে দুজনেরই এটা প্রথম শতক।
শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে চতুর্থ দিনের পুরোটাই আসলে বাংলাদেশের সাফল্যে উদ্ভাসিত। ৫ উইকেটে ৫৩৭ রান নিয়ে দিন শুরু করা পাকিস্তান বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলামের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ৬২৮ রানে অলআউট হয়ে গেছে। প্রথম ইনিংসে তাই ২৯৬ রানের লিড পেয়েছে অতিথিরা। ১৬৩ রানে তাইজুলের শিকার ৬ উইকেট।
তৃতীয় দিনশেষে দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান সরফরাজ আহমেদ ও আসাদ শফিকের রান ছিল ৫১ করে। শতকের সম্ভাবনা জাগালেও তিন অঙ্ক ছুঁতে পারেননি কেউই। চতুর্থ দিনের দ্বাদশ ওভারে বাংলাদেশ প্রথম সাফল্য পেয়েছে অভিষিক্ত মোহাম্মদ শহীদের সৌজন্যে। ৮২ রান করা সরফরাজকে বদলি ফিল্ডার লিটন দাসের ক্যাচ বানিয়ে টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম উইকেটের আনন্দে মেতে উঠেছেন এই ডানহাতি পেসার। ষষ্ঠ উইকেটে শফিকের সঙ্গে ১২৬ রানের জুটি গড়েছেন সরফরাজ।
পরের ওভারে দারুণ এক বলে ওয়াহাব রিয়াজকে বোল্ড করেছেন তাইজুল। সরফরাজের মতো শফিককেও সেঞ্চুরি না পাওয়ার আক্ষেপে পুড়তে হয়েছে। ৮৩ রান করে তিনি ফিরতি ক্যাচ দিয়েছেন সাকিব আল হাসানকে। বাকি দুই উইকেট তুলে নিয়ে টেস্ট ক্রিকেটে তৃতীয়বারের মতো ইনিংসে পাঁচ উইকেট শিকারের উচ্ছ্বাসে ভেসে গেছেন তাইজুল। ৩৪ রানে শেষ পাঁচ উইকেট হারানোয় ৩০০ রানের লিডও নিতে পারেনি পাকিস্তান।
দ্বিতীয় দিন ডান হাতের আঙুলে ব্যথা পাওয়া মুশফিকুর রহিম শুক্রবারও মাঠে নামতে পারেননি। তবে সকালে কিছুক্ষণ ব্যাটিং অনুশীলন করেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস : ৩৩২ (তামিম ২৫, ইমরুল ৫১, মুমিনুল ৮০, মাহমুদউল্লাহ ৪৯, সাকিব ২৫, মুশফিক ৩২, সৌম্য ৩৩, শুভাগত ১২*, তাইজুল ১, শহীদ ১০, রুবেল ২; ওয়াহাব ৩/৫৫, ইয়াসির ৩/৮৬, হাফিজ ২/৪৭, বাবর ২/৯৯)।
পাকিস্তান প্রথম ইনিংস : ৬২৮ (হাফিজ ২২৪, আসলাম ২০, আজহার ৮৩, ইউনিস ৩৩, মিসবাহ ৫৯, শফিক ৮৩, সরফরাজ ৮২, ওয়াহাব ০, ইয়াসির ১৩, বাবর ১১, জুনায়েদ ০*; তাইজুল ৬/১৬৩, শুভাগত ২/১২০, শহীদ ১/৫৯, সাকিব ১/১৪৬)।
বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংস : ২৭৩/০ (তামিম ১৩৮*, ইমরুল ১৩২*)।