সমালোচনায় চিন্তিত নন জিদান
জিনেদিন জিদানের হাত ধরেই রিয়াল মাদ্রিদের ঘুরে দাঁড়ানোর সূচনা। চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপাজয়ীদের সময়টা অবশ্য তেমন ভালো যাচ্ছে না এখন। টানা তিন ম্যাচ ড্র করে বেশ বেকায়দায় পড়ে গেছে স্পেনের সফলতম দলটি। কোচ হিসেবে জিদানকে শুনতে হচ্ছে অনেক সমালোচনা। ফরাসি কিংবদন্তি অবশ্য এসব সমালোচনাকে তেমন পাত্তা দিতে রাজি নন।
গত জানুয়ারিতে জিদান কোচ হওয়ার সময় স্প্যানিশ লা লিগার শিরোপা লড়াইয়ে অনেক পিছিয়ে ছিল রিয়াল মাদ্রিদ। তবে জিদানের ছোঁয়ায় বদলে যাওয়া রিয়াল ঘুরে দাঁড়িয়েছিল দুর্দান্তভাবে। শেষ পর্যন্ত শিরোপা জিততে না পারলেও চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনার চেয়ে মাত্র এক পয়েন্ট পিছিয়ে রানার্সআপ হয়েছিল তারা। তবে ইউরোপীয় ক্লাব ফুটবলের সেরা প্রতিযোগিতা চ্যাম্পিয়নস লিগে জিদানের শিষ্যদের কেউ ঠেকাতে পারেনি। ফাইনালে নগর-প্রতিদ্বন্দ্বী আতলেতিকো মাদ্রিদকে টাইব্রেকারে হারিয়ে রিয়াল পেয়েছিল রেকর্ড একাদশ শিরোপার মধুর স্বাদ।
জিদানের অধীনে আরেকটি দুর্দান্ত অর্জনও স্পর্শ করেছে রিয়াল। লা লিগায় বার্সেলোনার টানা ১৬টি জয়ের রেকর্ড স্পর্শ করেছেন জিদানের শিষ্যরা। কিন্তু ইদানীং হঠাৎ করেই রিয়ালের পারফরম্যান্সে ভাটা। লিগে ভিয়ারিয়াল আর লাস পালমাসের সঙ্গে ড্রয়ের পর চ্যাম্পিয়নস লিগে বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষেও ২-২ গোলে ড্র করেছে ইউরোপের সবচেয়ে সফল দল।
রিয়ালের এমন ‘দুর্দশা’য় স্বাভাবিকভাবেই দুশ্চিন্তায় সমর্থকরা। অনেকে জিদানের সমালোচনায় মুখর। ফ্রান্সের ১৯৯৮ বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক অবশ্য সমালোচনা নিয়ে নির্বিকার, ‘এটাই রিয়াল মাদ্রিদ। আমিও এখানকার খেলোয়াড় ছিলাম। এটা সেরার সেরা ক্লাব আর সবসময়ই তা থাকবে।’ নিজে কোন অবস্থানে দাঁড়িয়ে আছেন, তা ভালোমতোই জানেন জিদান, ‘এই ক্লাবের কাছে প্রতিদিনই কিছু না কিছু দাবি থাকে। আমরা চ্যাম্পিয়নস লিগ জিততে পারলাম নাকি পারলাম না সমর্থকরা তার মূল্যায়ন করে। আমি জানি, আগামীকাল আমরা ভালো খেলতে না পারলে কী হতে পারে। কোথায় আছি তা আমি ভালোমতোই জানি।’