খুলনার অনুপ্রেরণায় ব্যাটিং করতে চাই : সাকিব
৫৫০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে তৃতীয় দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ এক উইকেট হারিয়ে ৬৩ রান। জয়ের জন্য প্রয়োজন আরো ৪৮৭ রান। নিঃসন্দেহে ভীষণ কঠিন লক্ষ্য। সাকিব আল হাসানও তা-ই মনে করছেন। তবে বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডারের বিশ্বাস, খুলনার অনুপ্রেরণা নিয়ে ব্যাট করতে পারলে মিরপুর টেস্টে বাংলাদেশের পক্ষে সম্মানজনক ফলাফল পাওয়া সম্ভব।
শুক্রবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে সাকিব বলেন, ‘এখন যে অবস্থায় আমরা দাঁড়িয়ে আছি তাতে বলা যেতে পারে আমাদের হারের সম্ভাবনাই বেশি। কারণ ম্যাচের আরো দুদিন বাকি আর আমাদের লক্ষ্যও বিশাল। এত রান তাড়া করে জেতা খুব কঠিন।’
তাই বলে হাল ছেড়ে দিচ্ছেন না টেস্ট ক্রিকেটের এক নম্বর অলরাউন্ডার। তাঁর দৃষ্টি খুলনা টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসের দিকে, ‘খুলনার মতো একটা বড় পার্টনারশিপ হলে, কেউ দেড়শ বা দুশ রান করতে পারলে ভালো কিছু করা সম্ভব।’
‘খুলনা টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ঘুরে দাঁড়ানোর অনুপ্রেরণা নিয়ে আমাদের আগামী দুদিন ব্যাট করতে হবে। আমরা শেষ পর্যন্ত লড়াই করার চেষ্টা করব। আমাদের দলের প্রত্যেকে নিজেদের সেরাটা ঢেলে দিলে এই ম্যাচে হার এড়ানো সম্ভব।’ বলেন সাকিব।
দলের হতাশার দিনে বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট ব্যাটসম্যান হিসেবে মিরপুর স্টেডিয়ামে হাজার রান করে সাকিব আনন্দিত, ‘মিরপুর স্টেডিয়াম সব সময়ই আমার কাছে স্পেশাল। এই স্টেডিয়ামে ভালো কিছু করতে পারলে খুব খুশি লাগে। আশা করি ভবিষ্যতে এখানে আরো ভালো ব্যাটিং করতে পারব।’
মিরপুর টেস্টের শুরু থেকেই একটা প্রশ্ন ঘুরে-ফিরে উঠছে। টস জিতে বাংলাদেশের ফিল্ডিং নেওয়ার সিদ্ধান্ত কি ভুল ছিল? প্রশ্নটা রাখা হলো সাকিবের কাছেও। এ প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি সিদ্ধান্তটা সঠিক ছিল। কারণ প্রথম দিন সকালে বল বেশ মুভ করছিল। তখন ব্যাট করতে নামলে এখন আমাদের অবস্থা আরো অনেক খারাপ থাকত।’
প্রথম দিন উইকেট থেকে সুবিধা নিতে না পারায় সাকিব অবশ্য হতাশ, ‘শাহাদাত হোসেনের চোটের কারণে সেদিন আমরা উইকেট থেকে তেমন সুবিধা নিতে পারিনি। শাহাদাত খেলতে পারলে ম্যাচের চেহারা হয়তো অন্যরকম হতো। আমাদের দুর্ভাগ্য ম্যাচের শুরুতেই তাকে হারিয়েছি। পাশাপাশি বোলারদের ব্যর্থতা তো আছেই।’