ইতালি-স্পেন লড়াই অমীমাংসিত
প্রতিশোধ নেওয়ার সুযোগ পেয়েও স্পেন ব্যর্থ। মাস তিনেক আগে ইতালির কাছে হেরে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে বিদায় নিতে হয়েছিল স্পেনকে। ২-০ গোলের দুঃখজনক পরাজয়ের পর বৃহস্পতিবার রাতে আবার ইতালির মুখোমুখি হয়েছিল তারা। কিন্তু বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে এগিয়ে গিয়েও স্পেন জিততে পারেনি। ইতালির মাঠে সাবেক দুই বিশ্বচ্যাম্পিয়নের লড়াই শেষ হয়েছে ১-১ গোলে।
তোরিনোর জুভেন্টাস স্টেডিয়ামে ম্যাচের বেশির ভাগ সময় প্রাধান্য ছিল স্পেনের। প্রথমার্ধে ৭৭ শতাংশ বলের দখল রেখেও তারা গোলের দেখা পায়নি। তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে হতাশা ঘুচে গেছে স্প্যানিয়ার্ডদের। ২০১০ বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের গোলটার পেছনে অবশ্য জিয়ানলুইজি বুফন সম্পূর্ণ দায়ী। সার্জিও বুস্কেতসের একটা নিরীহ থ্রু বিপদমুক্ত করতে বক্স ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিলেন ইতালির গোলরক্ষক; কিন্তু বল চলে গেছে তাঁর পায়ের নিচ দিয়ে। ফাঁকা পোস্টে বল ঠেলতে সমস্যা হয়নি ভিতোলোর। ৫৫ মিনিটের ওই গোলের পর আরেকটি সুযোগ পেলেও ভিতোলো তা কাজে লাগাতে পারেননি।
তার মূল্যও দিতে হয়েছে স্পেনকে। ৮২ মিনিটে ইতালির স্ট্রাইকার এদারকে বক্সের মধ্যে ফাউল করেন সার্জিও রামোস। সঙ্গে সঙ্গে বেজে ওঠে পেনাল্টির বাঁশি। দানিয়েলে দে রোসির শট বুঝতেই পারেননি স্পেনের গোলরক্ষক দাভিদ দে গেয়া (১-১)। শেষ মুহূর্তে পোস্টের ঠিক সামনে থেকে নেওয়া চিরো ইম্মোবিলের শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় জয়ের আনন্দে মেতে উঠতে পারেনি ইতালি। তবে জিততে না পারলেও ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে অপরাজিত থাকার রেকর্ড ঠিকই অক্ষুণ্ণ রেখেছে ‘আজ্জুরি’রা।
ইউরোপ থেকে গ্রুপ চ্যাম্পিয়নরা সরাসরি রাশিয়া বিশ্বকাপে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবে। ‘জি’ গ্রুপে ইতালি-স্পেনের সঙ্গী আলবেনিয়া, ইসরায়েল, মেসেডোনিয়া ও লিখটেনস্টাইন। দুটি করে ম্যাচ শেষে ছয় পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে আলবেনিয়া। স্পেন-ইতালি দুই দলেরই সংগ্রহ চার পয়েন্ট।