পাকিস্তানের দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান
দীর্ঘ ছয় বছর পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরতে যাচ্ছে পাকিস্তানে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুটি টি-টোয়েন্টি ও তিনটি ওয়ানডের সিরিজটি শুধু ব্যাট-বলের লড়াইয়ে সীমাবদ্ধ থাকছে না অবশ্য। জিম্বাবুয়ের এ সফরের মধ্য দিয়ে যেন পুনর্জাগরণ ঘটতে যাচ্ছে পাকিস্তান ক্রিকেটের। লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় শুরু হতে যাওয়া প্রথম টি-টোয়েন্টির জন্য তাই অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় পুরো পাকিস্তান।
২০০৯ সালের মার্চে লাহোরে শ্রীলঙ্কা দলের বাসে সন্ত্রাসী হামলার পর এটাই কোনো টেস্ট দলের প্রথম পাকিস্তান সফর। জিম্বাবুয়েও অনেক দ্বিধা, অনেক সংশয় নিয়ে পা রেখেছে পাকিস্তানের মাটিতে। গত সপ্তাহে সফর বাতিলের ঘোষণা দিলেও কিছুক্ষণ পর সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে জিম্বাবুয়ের ক্রিকেট বোর্ড (জেডসি)।
তাই প্রথমবারের মতো ঘরের মাঠে দেশকে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পাচ্ছেন পাকিস্তানের বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার। উমর আকমল, আজহার আলী, আসাদ শফিকরা ৫০টির ওপরে ম্যাচ খেলে ফেললেও শুক্রবারই দেশের মাটিতে প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে যাচ্ছেন।
ব্যাট-বলের লড়াইয়ের চেয়ে অবশ্য নিরাপত্তা নিয়েই বেশি আলোচনা হচ্ছে। ক্রিকেটারদের হোটেল থেকে স্টেডিয়ামে নিরাপদে পৌঁছানোর জন্য নিযুক্ত করা হয়েছে পুলিশ ও আধা-সামরিক বাহিনীর ছয় হাজার সদস্য। ক্রিকেটপ্রেমীদের উৎসাহ-উদ্দীপনার অবশ্য অভাব নেই। প্রথম ম্যাচে গাদ্দাফি স্টেডিয়ামের ২৭ হাজার টিকেট শেষ হতে সময় লাগেনি। অনেককে ফিরতে হয়েছে টিকেট না পাওয়ার হতাশা নিয়ে।
এই সিরিজের জন্য কোনো আম্পায়ার পাঠাতে রাজি হয়নি আইসিসি। ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থাকে ‘জবাব’ দিতে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডও নিয়েছে ‘অভিনব’ সিদ্ধান্ত। ছয় বছর আগে সেই হামলার সময় শ্রীলঙ্কা দলের বাসে ছিলেন আম্পায়ার আহসান রাজাও। গুরুতর আহত হলেও কোনোরকমে প্রাণে বেঁচে যাওয়া আহসান রাজাকে এ সিরিজে আম্পায়ারিংয়ের দায়িত্ব দিয়েছে পিসিবি। তাঁর সঙ্গে আম্পায়ার হিসেবে আরো থাকছেন আলীম দার, শোজাব রাজা, আহমেদ শাহাব ও খালিদ মাহমুদ। আছেন জিম্বাবুয়ের আম্পায়ার রাসেল টিফিনও।