বাংলাদেশের দুশ্চিন্তার নাম ‘চোট’

আর দুই সপ্তাহ। আগামী ৭ জুন বাংলাদেশ সফরে আসছে ভারত। একটি টেস্ট আর তিনটি ওয়ানডে ম্যাচ খেলবে। ঠিক তার আগমুহূর্তে বাংলাদেশ দলে ভর করেছে দুশ্চিন্তা। সেই দুশ্চিন্তার নাম চোট। দলের তিন সিনিয়র খেলোয়াড় এতে আক্রান্ত। টেস্ট দলের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের হাতের আঙুলে ব্যথা। ওপেনার তামিম ইকবালের বাঁ হাঁটুর পুরোনো ব্যথা ফিরে এসেছে। এর সাথে জেগে উঠেছে বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের পায়ের হাড়ের পুরনো ব্যথাটা।
এই তিনজনের মধ্যে শুধু মুশফিকের চোটই নতুন। পাকিস্তানের বিপক্ষে খুলনা টেস্টের দ্বিতীয় দিনে ক্যাচ ধরতে গিয়ে হাতের আঙুলে আঘাত পান তিনি। সাকিব-তামিমের চোট অবশ্য পুরোনো। হাঁটুর এই চোটের কারণে তামিমকে বিশ্বকাপের আগে অস্ত্রোপচার করতে হয়েছে। পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ চলাকালে আবার এই সেই ব্যথা জেগে উঠেছে। আর সাকিবের পায়ের ব্যথাটা হচ্ছে, টানা ক্রিকেট খেলার কারণে।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ফিজিও ডা. দেবাশীষ চৌধুরী জানিয়েছেন, ‘তিন ক্রিকেটারই আমাদের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। তাঁদের চোট-সংক্রান্ত বিষয়গুলো নিয়ে আমরা কাজ করছি। তবে এখনই নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না, ভারতের বিপক্ষে সিরিজে তাঁরা খেলতে পারবেন কি পারবেন না। তবে এখনই কাউকেই অনিশ্চিত বলা যাচ্ছে না।’
তবে মুশফিকের আঙুলের ভেতরের ক্ষত এখনো পুরোপুরি সেরে না ওঠায় দলের দুশ্চিন্তা কিছুটা বেড়েছে। তাই তাঁকে এক সপ্তাহের জন্য বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। অন্য ট্রেনিং করতে পারবেন, তবে হাত ব্যবহার করতে নিষেধ করা হয়েছে মুশফিককে।
শুধু মুশফিকই নন, বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে সাকিব-তামিমকেও। বিসিবির অন্যতম নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু জানিয়েছেন, ‘চোটের কারণে মুশফিক-সাকিব-তামিমকে বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। রোববার থেকে শুরু হতে যাওয়া বিসিএল লঙ্গার ভার্সন ক্রিকেটেও খেলছে না এই তিন ক্রিকেটার।’
ভারতের বিপক্ষে সিরিজে ফতুল্লায় একমাত্র টেস্ট শুরু হবে ১০ জুন। ১৮, ২১ ও ২৪ জুন তিনটি ওয়ানডেরই ভেন্যু মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়াম।