গোলশূন্য অবস্থায় বিরতিতে বাংলাদেশ-কুয়েত
১৯৮৬ সালে এশিয়ান গেমসে সবশেষ মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কুয়েতের বিপক্ষে খেলেছিল বাংলাদেশ। ৩৭ বছর পর আবারও প্রতিপক্ষ সেই বিশ্বকাপ খেলা দেশটি। যদিও এবার মঞ্চটা ভিন্ন। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে প্রথমার্ধ শেষে গোলশূন্য অবস্থায় দুদল।
আজ শনিবার (১ জুলাই) বেঙ্গালুরুর কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে ফাইনাল নিশ্চিতের মিশনে মাঠে নামে বাংলাদেশ। একের পর এক আক্রমণ করলেও প্রথমার্ধে গোলের দেখা পায়নি কোনো দল।
র্যাঙ্কিয়ে বাংলাদেশ থেকে ঢের এগিয়ে কুয়েত। স্বাভাবিকভাবেই বাংলাদেশের জন্য এই ম্যাচ বড় এক চ্যালেঞ্জ বটে। কারণ বিশ্বকাপে খেলা কুয়েত গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবেই সেমি নিশ্চিত করেছে। অন্যদিকে রানার্সআপ হিসেবে শেষ চারে জায়গা করে নিয়েছে জামাল-মোরসালিনরা।
ভুটানের বিপক্ষে চোটের কারণে একাদশে সুযোগ না পাওয়া তারিক কাজীকে ফেরানো হয় এই ম্যাচে। ম্যাচের প্রথম মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারত বাংলাদেশ। মাঠের ডান প্রান্ত দিয়ে রাকিবের বাড়ানো বলে কুয়েতের গোলরক্ষক মারজুককে একা পেয়েও বল জালে জড়াতে পারেননি ওয়ান্ডার বয় শেখ মোরসালিন। ম্যাচের ষষ্ঠ মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল কুয়েত। তবে রক্ষণভাগে গোললাইন থেকে বল ক্লিয়ার করে বাংলাদেশকে এ যাত্রায় বাঁচিয়ে দেন ঈসা ফয়সাল।
ম্যাচের ২৪তম মিনিটে ফ্রি কিক থেকে ফের এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পায় কুয়েত। তবে গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকোর দুর্দান্ত সেভে সে যাত্রায় রেহাই পায় বাংলাদেশ। এরপর ম্যাচের ২৭তম মিনিটে বক্সের বেশখানিকটা দূর থেকে রাকিবের বাঁ পায়ের জোরাল শট সহজেই প্রতিহত করেন কুয়েতের গোলরক্ষক।
ম্যাচের ২৯তম মিনিটে ফ্রি কিকের সুবাদে বল পেয়ে যান কুয়েতের আল রাশিদি। সেই সুযোগে তার দূরপাল্লার শট জালে ঢুকেই যাচ্ছিল, তবে জিকোর বিশ্বস্ত হাতে এযাত্রাতেও বেঁচে যায় বাংলাদেশ। এক মিনিট পরেই ফের একবার গোলের ভালো সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। রাকিবের ক্রস থেকে এবারও গোল করতে ব্যর্থ হন মোরসালিন।
এরপর ৩৯তম মিনিটে আল রাশদির গড়ানো শটে ফের জিকোর প্রতিরোধ। সবমিলিয়ে প্রথমার্ধের যতবারই বাংলাদেশের রক্ষণভাগে আক্রমণ করেছে কুয়েত, ততবারই তাদের হতাশ করেছেন জিকো। বাকি সময়ে আর তেমন আক্রমণ না হওয়ায় গোলশূন্য অবস্থায় বিরতিতে যায় বাংলাদেশ।